এশিয়া কাপের ১৪তম আসরের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ভারতের বিপক্ষে ১১টি চার ও ৭টি ছক্কায় ১১৬ বলে ১২৪ রান করেন শেহজাদ। দলীয় ১৩১ রানে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন শেহজাদ। এ ইনিংস দিয়ে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদির রেকর্ড স্পর্শ করেন শেহজাদ।
দলের সংগ্রহ ও কোন খেলোয়াড়ের সেঞ্চুরি মাঝে কম ব্যবধানের রেকর্ডের ক্ষেত্রে এতোদিন সবার উপরে ছিলেন আফ্রিদি। ২০০৫ সালে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে দলের ১৩১ রানের মধ্যে সেঞ্চুরি করেন তিনি। এবার আফ্রিদির রেকর্ড স্পর্শ করে তার পাশেই বসলেন শেহজাদ। ভারতের বিপক্ষে দলের ১৩১ রানে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শেহজাদ।
তবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে না পেরে হতাশ আফগানিস্তান ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ। ভারতের বিপক্ষে শেহজাদের চোখ জুড়ানো সেঞ্চুরি করেও ভারতকে হারাতে পারেনি আফগানরা। অবশ্য হারের স্বাদও নেয়নি শেহজাদের দল। অর্থাৎ ম্যাচটি টাই হয়েছে। এ জন্যই অখুশি শেহজাদ।
এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের বর্তমান কন্ডিশনে বিরক্ত খেলোয়াড়রা। প্রচন্ড গরমের মধ্যেই খেলতে হচ্ছে তাদের। তারপরও খেলোয়াড়দের প্রবল ইচ্ছা শক্তির কাছে হার মানছে কন্ডিশন। তাই এমন কন্ডিশনের মধ্যে ব্যাট-বল হাতে সেরাটাই দিচ্ছেন খেলোয়াড়রা। যেমনটা দেখালেন আফগানিস্তানের ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। ভারতের বিপক্ষে ১১টি চার ও ৭টি ছক্কায় ১১৬ বলে ১২৪ রান করেন শেহজাদ।
প্রচন্ড গরমের মধ্যেও প্রায় ৩৮ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করেছেন তিনি। এমনকি পরবর্তীতে পুরো ৫০ ওভার উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে ফিল্ডিংয়ের কাজটাও করেছেন শেহজাদ। তারপরও ম্যাচ শেষে জয়ের স্বাদ পাননি শেহজাদ ও তার দল।
ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি পেলেও ম্যাচের এমন ফলাফলে অখুশী শেহজাদ বলেন, ‘সত্যি, এমন ফলাফলে আমি খুশি হতে পারছি না। প্রচন্ড গরম আবহাওয়া। এমন কন্ডিশনে এ মাঠে ছয় ঘণ্টা খেলতে হয়েছে। এটি ঠিক না। আমি এ ম্যাচে সব বলই মারতে চেয়েছিলাম, কারণ আমরা এখান থেকে চলে যাচ্ছি। তাই বল দেখেই মারতে চেয়েছিলাম। এশিয়ার বেশ কিছু ভালো দলের সাথে খেলতে পেরে আমি খুশি। আমার নিজের ইনিংসেও খুশি। আমার আসল কাজ ছিল ব্যাট হাতে পারফর্ম করা। আমি করতে পেরেছি। চিয়ার্স।’
শেহজাদকে দেখে অনেকে ক্রিকেট প্রেমিরই পুরনো কিছু স্মৃতি মনে পড়ে যায়। প্রায় ১২৫ কেজি ওজন নিয়ে বারমুডার হয়ে খেলেছেন ডোয়েন লেভেরক। তারও আগে রুষ্ট-পুষ্ট শরীর নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড বুন, শ্রীলঙ্কার অর্জুনা রানাতুঙ্গা, পাকিস্তানের ইনজামাম-উল হক ২২ গজে চমক দেখিয়েছেন। আর এ প্রজন্মে আছেন শাহজাদ।