পারলো না জিততে, বরং ৯১ রানের হার। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের পর আফগানিস্তানের কাছেও লজ্জাজনক হারে এশিয়া কাপের চলমান আসর থেকে বিদায় নিলো শ্রীলঙ্কাকে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশের সঙ্গী হলো আফগানরা।
গ্রুপ পর্বে ও টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল টাইগাররা। আফগানদের বিপক্ষে লঙ্কানরা হারলেই পরের পর্বে যেত তারা। অবশেষে তাই হলো, বাংলাদেশ চলে গেল পরের পর্বে। আর টাইগারদের সঙ্গে গেল আফগানিস্তানও।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে সব ক’টি উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। ২৫০ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাও ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। প্রথম ওভারেই মুজিব-উর-রহমানের শিকার বনে ফেরেন কুশল মেন্ডিস। দ্বিতীয় উইকেটে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন উপুল থারাঙ্গা। কিন্তু হঠাৎই ভুল বোঝাবুঝিতে দলীয় ৫৪ রানে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি।
টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে ছিলেন থারাঙ্গা। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কুশল পেরেরা। ব্যক্তিগত ১৭ রানে রশিদ খানের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। পরক্ষণেই হার মানেন থারাঙ্গা। গুলবাদিন নায়েবের শিকারে পরিণত হন তিনি। এর আগে ৬৪ বলে ৩ চারে ৩৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন থারাঙ্গা। এ বিপর্যয়ের মধ্যে রানআউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন শেহান জয়াসুরিয়া।
এরপর থিসারা পেরেরাকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। জমে ওঠে তাদের জুটি। আফগানদের চোখ রাঙাতেও শুরু করেন তারা। তবে আশা দেখিয়েও নিভিয়ে দেন ম্যাথুস। মোহাম্মদ নবীকে অযাচিত শট খেলতে গিয়ে রশিদ খানকে ক্যাচ দেন। ফের বিপাকে পড়ে শ্রীলঙ্কা।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ১৫৮ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। বাংলদেশের বিপক্ষেও মাত্র ১২৪ রানে অলআউট হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। আফগানিস্তানের হয়ে মুজিব, রশিদ, নায়েব, নবী প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে আবুধাবিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ২৪৯ তোলে আফগানরা। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে আউট হন মুজিব-উর রহমান। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৫৫ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন থিসারা পেরেরা। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। তিনি ১০ ওভারে দেন ৬৬ রান, উইকেট পেয়েছেন মাত্র একটি। এছাড়া আকিলা ধনঞ্জয়া নিয়েছেন ২টি উইকেট।