সংযুক্ত আরব আমিরাতে পর্দা উঠছে ১৪তম এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের। এবারের আসরে টেস্ট খেলুড়ে পাঁচটি দেশ বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলবে ওয়ানডে মর্যাদা না পাওয়া হংকং। প্রথম দিনের উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।
এক সময়ের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যেমন ক্রিকেট মহলে ছিল টানটান উত্তেজনা ঠিক তেমনি উত্তেজনা বিরাজ করে শ্রীলঙ্কার সাথে বাংলাদেশের ম্যাচ। এর অবশ্য অনেক কারণও রয়েছে। দেশটির সাথে একাধিক ম্যাচ খেলা ছাড়া সর্বশেষ টাইগারদের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চলে যাওয়া এবং নিজ দেশ শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নেওয়ার বেশ উত্তেজনা রয়েছে। তবে টাইগারদের খেলার মাঝে আসলে এটা আসে না, কারণ তারা ক্রিকেটকে খেলার মধ্যেই দেখেন।
বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফিকে এ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। তিনি বলেন, ‘এটা তো আসলে মাঠে সব খেয়াল থাকে না। মূল কথা থাকে মাঠে খেলে জেতাটাই উদ্দেশ্য থাকে। কখন কী হয়েছিল এগুলো ভাবার বিষয় না। আর আমার মনে হয় না এগুলোর কোন গুরুত্ব আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের হয়ে খেলছে (ক্রিকেটাররা) যখন স্বাভাবিক কারণেই (জেদ) থাকা উচিত। হাথু (চন্ডিকা হাথুরুসিংহে) তো কারো শত্রু না। মাঠে খেলতে গিয়ে হিট অব দ্য মোমেন্ট কিছু ইনসিডেন্ট হয়ে যায়। এগুলো আসলে ক্যারি করে না খেলোয়াড়দের ভেতরে। মনে হয় অপ্রয়োজনীয় জিনিস এগুলো।’
তবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা আরেকটা নতুন টানটান উত্তেজনার লড়াইয়ে চ্যালেঞ্জ দেখছেন মাশরাফি। বলেন, ‘অবশ্যই, আপনি যদি ক্রিকেটের বা সব খেলার আলাদা চ্যালেঞ্জ আছে। অ্যাশেজ হয়, আগে ভারত-পাকিস্তান হতো। এই ধরনের দল নিয়ে আলাদা হাইপ থাকে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলেছি বলে হয়তবা। এসব জিনিস থাকবে।’
সাকিবের ফিটনেস নিয়ে সংশয়ের বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘হ্যাঁ, ধরেন ফ্রাকচার জিনিস তো দুই তিনদিনে ঠিক হয় না। যেগুলো ছিল ওইগুলা থাকবে এবং আগেও এসব নিয়ে খেলেছে তো তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে খেলবে। এখন আসলে একদিন আগে এগুলো নিয়ে আলোচনার কোন মানে হয় না। এখন তো আর কোন অজুহাতও নাই। বাংলাদেশ সেরা একাদশ নিয়েই খেলছে।’
তবে মাশরাফি আরও বলেন, ‘কিছু চিন্তা তো আছে (একাদশ নিয়ে)। আমরা যে গ্রাউন্ডে খেলব সেখানে অনুশীলনের সুযোগটা অতটা পাইনি। কাজেই পুরো দল হিসেবে ওখানে যেতে পারিনি। যতটুকু দেখেছি আমরা চিন্তাভাবনা করেছি।’
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি মর্তুজা (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।