ওপেনার ও অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে দিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) চার ম্যাচ পর হারের স্বাদ পেল মোহামেডান। একই সাথে এ ম্যাচে লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন মোহামেডানের পেসার তাসকিন আহমেদ।
বিজয়ের সেঞ্চুরিতে লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে ৬৫ রানে হেরেছে মোহামেডান। ব্যাট হাতে এনামুল হক বিজয় ১৪৩ বলে ১৪৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন। অন্যদিকে, ১০ ওভারে ১০৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন মোহামেডানের পেসার তাসকিন আহমেদ। এর ফলে বাংলাদেশের মাটিতে স্বীকৃত ক্রিকেটে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলিং ফিগারের রেকর্ডের মালিক এখন তাসকিন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সাভারে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৬০ বলে ১৪১ রানের সূচনা করেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের দুই ওপেনার সাদিকুর রহমান ও এনামুল। জুটিতে ৭টি চারে ৭৫ বলে ৬০ রান করেন সাদিকুর।
এরপর শোভন মোড়ল ১০ ও শামসুর রহমান শুভ ৩২ রানে আউট হলে তোফায়েল আহমেদকে নিয়ে ৯৮ রানের জুটি গড়েন এনামুল। এসময় এনামুল লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ২১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন।
৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় তোফায়েল ২৯ বলে ৬৩ রানের ঝড় থামলেও ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলেছেন এনামুল। ১২টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো এনামুলের ১৪৩ বলে ১৪৯ রানের অনবদ্য ইনিংসের উপর ভর করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। তাসকিন ১০৭ রান খর্চায় ৩ উইকেট নেন।
জবাবে ৬৩ বলে ৭২ রানের সূচনা করেন মোহামেডানের দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৮ রানে আউট হন তামিম।
তিন নম্বরে নামা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩ রানে আউট হলে তৃতীয় উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়েন রনি ও তাওহিদ হৃদয়। রনি ৪টি করে চার-ছক্কায় ৯০ বলে ৭৪ ও হৃদয় ৫২ বলে ৩৬ রানে আউট হন।
দলীয় ১৭০ রানের মধ্যে রনি- হৃদয়ের বিদায়ের পর আর কোন বড় জুটি গড়তে না পারার খেসারত দিতে হয় মোহামেডানকে। ৪৮.১ ওভারে ২৭১ রানে গুটিয়ে তারা। পাঁচ নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিমের ৪৬ বলে ৪৯ রানে হারের ব্যবধান কমায় মোহামেডান। আব্দুল গাফার সাকলাইন নিয়েছেন ৪ উইকেট।
এ ম্যাচ শেষে ৬ খেলায় ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানেই থাকল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়স্থানে আছে মোহামেডান।