বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ‘বিদায়’, ভারতের সাথে সেমিতে নিউজিল্যান্ড

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ১০:৩৬ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ‘বিদায়’, ভারতের সাথে সেমিতে নিউজিল্যান্ড

চলমান আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টানা দুই হারে সেমিফাইনালে আশা থেকে ছিটকে গলে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা নিয়ে খেলতে গেলেও গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ভারতের কাছে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের স্বাদ পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তরা।

টানা দুই হারে আসরে থেকে কার্যত ছিটকে গেলে বাংলাদেশ। নিয়ম রক্ষার জন্য এখন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে শান্তরা। বাংলাদেশের এ ছিটকে যাওয়ায় স্বাগতিক পাকিস্তানেরও সেমির আশা শেষ হয়ে গেছে। গ্রুপ পর্বে বাবর আজমরাও টানা দুই ম্যাচ হেরেছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রানের সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একই দৃশ্য দেখে টাইগার ভক্তরা।

দুই পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমেও যাওয়া-আসার মিছিলে যুক্ত হয় টাইগার ব্যাটাররা। এর মাঝে ছিল টড বল খেলার মহা উৎসব। পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করলেও ১৮১টি ডট বল খেলে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটি এবং জাকের আলী অনিকের ৪৫ রানের ইনিংসে ভর করে ২৩৬ রানের সংগ্রহ গড়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাচিন রবীন্দ্রার সেঞ্চুরিতে ২৩ বল বাকি রেখেই ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।

এ জয়ে ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারতের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে ওঠে নিউজিল্যান্ড।

২৩৭ রানের জবাবে প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। আগের ম্যাচেই পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ওপেনার উইল ইয়ং আজ রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন।

চতুর্থ ওভারে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন আরেক পেসার নাহিদ রানা। নিউজিল্যান্ডের সেরা ব্যাটার কেন উইলিয়ামসনকে ৫ রানে শিকার করেন রানা।

১৫ রানে ২ উইকেট পতনের পর নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা সচল রাখেন আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়েল ও রাচিন। ৬টি চারে ৩০ রান করে পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বলে বোল্ড হন কনওয়ে।

৭২ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে কনওয়ে ফেরার পর নিউজিল্যান্ডের জয়ের পথ তৈরি করেন রাচিন ও টম লাথাম। চতুর্থ উইকেটে ১৩৬ বলে ১২৯ রান যোগ করে দু’জনে। এই জুটিতেই ৯৫ বলে ওয়ানডেতে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি করেন রাচিন। অবশ্য ব্যক্তিগত ৯৩ রানে রানার বলে মিরাজের হাতে জীবন পান রাচিন।

সেঞ্চুরির পর ব্যক্তিগত ১০৫ রানে আবারও ক্যাচ দিয়ে জীবন পান রাচিন। এবার বোলার ছিলেন মুস্তাফিজ, ফিল্ডার ছিলেন মাহমুদুল্লাহ।

দ্বিতীয়বার জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত স্পিনার রিশাদের বলে ১১২ রানে আউট হন রাচিন। ১০৫ বলে ১২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি।

রাচিন ফেরার পর রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন ৩টি চারে ৫৫ রান করা লাথাম। এ সময় ৫০ বলে ২৩ রান দরকার ছিলো নিউজিল্যান্ডের। ষষ্ঠ উইকেটে ২৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে কিউইদের জয় নিশ্চিত করেন ফিলিপস ও ব্রেসওয়েল। ফিলিপস ২১ ও ব্রেসওয়েল ১১ রানে অপরাজিত থকেন।

বাংলাদেশের তাসকিন, মোস্তাফিজ, রানা ও রিশাদ ১টি করে উইকেট নেন।



শেয়ার করুন :