চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলীর ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ভারতকে রানের লক্ষ্য দিতে পারে বাংলাদেশ। জাকের আলী ৬৮ রানে এবং তাওহিদ হৃদয় প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরি হাঁকান।
ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংস গুটিয়ে গেলে সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২৮ রান। হৃদয়-জাকের আলী ছাড়া ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ২৫ এবং শেষ দিকে রিশাদ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সৌম্য সরকারকে হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে খালি হাতে ফিরেন সৌম্য। পাঁচ বল খেলে সৌম্য ডাক মারায় দলীয় ১ রানে উদ্বোধনী জুটি হারায় বাংলাদেশ।
সৌম্য চলে যাওয়ার পরের ওভারে হতাশ করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ২ বল খেলা শান্তও ডাক মারেন। ফলে দলীয় ২ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
পর পর দুই উইকেট হারানোর পর ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের সাথে উইকেট জুটি গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে সেই জুটিও বেশিদূর যেতে পারেনি। ইনিংসের সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সাজঘরে ফিরেন মিরাজ (৫)।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে উইকেটে আসেন তাওহিদ হৃদয়। তবে অক্ষর প্যাটেলের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তানজিদ হাসান। ব্যাটারদের যাওয়ার আসার মিছিলে ২৫ বলে ২৫ রান করে ফিরেন তিনি। ফলে দলীয় ৩৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তানজিদ চলে যাওয়ার পরের বলে মুশফিকুর রহিমকে খালি হাতে ফেরান প্যাটেল। নবম ওভারে পর পর দুই উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশের হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয় এবং জাকের আলী অনিক। দশ ওভারে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৫ উইকেটে ৩৯ রান।
হৃদয় এবং জাকেরের ব্যাটে রানে চাকা সচল থাকে বাংলাদেশের। ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৭৯ রান। সে সময় হৃদয় ২৪ এবং জাকের আলী ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ধীর গতিতে দু’জনেই ফিফটি স্পর্শ করার পর ভারতীয় বোলারদের উপর চড়াও হন।
ইনিংসের ৪০তম ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৬৫ রান। ব্যাট হাতে জোড়া ফিফটি করা হৃদয় ৭০ এবং জাকের আলী ৬০ রানে ব্যাট করেন। তবে ইনিংসের ৪৩তম ওভারে শামির বলে ক্যাচ বন্দি হন জাকের। ১১৪ বলে ৬৮ রান করে ফিরেন তিনি।
জাকের ফিরে গেলেও আহত হৃদয় দলের রানের চাকা সচল রাখেন। জাকের চলে যাওয়ার পর রিশাদ এক ওভারে দুই ছক্কা ও এক চারে ম্যাচে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলেন। তবে ব্যক্তিগত ১৮ রানে ফিরেন তিনি। এরপর আর কেউ হাল ধরতে পারেননি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর তাওহিদ হৃদয়ও ফিরে সাজঘরে। ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংস।