ছোটরা এশিয়া কাপ জয়ের দিনে পারলো না বড়রা। তিনশ’ ছোঁয়া রানের সংগ্রহ গড়েও স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫ উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো টাইগারদের। শুরুতে ক্যারিবীয় শিবিরে ধাক্কা দিলেও মিডল অর্ডারে শেই হোপ ও শেরফান রুদারফোর্ড দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই হেরে যায় বাংলাদেশ।
রোববার (৮ ডিস্মেবর) বাংলাদেশ সময় রাতে সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ তামিম, চারে নামা অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ ও অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ভর করে ৬ উইকেটে ২৯৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
দলের পক্ষে ব্যাট হাতে ওপেনার তানজিদ ৬০ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কার শট আসে তার ব্যাট থেকে। এছাড়া অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ খেলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৪ রান। ১০১ বলের ইনিংসে ছয়টি চার ও একটি ছক্কা মারেন এ অলরাউন্ডার।
শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং জাকের আলী দারুণ জুটিতে বাংলাদেশের রান পৌঁছে তিনশ'র কাছাকাছি। জাকের ৪০ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৪৮ রান করে আউট হলেও ৪৪ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৫০ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।
জয়ের জন্য ২৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৭ রানের ২ উইকেট হারায় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় উইকেটে কেসি কার্টি ও শেই হোপ ৬৭ রানের জুটি গড়েন। ২১ রান করা কার্টিকে ফেরান লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
শুরু ধাক্কা সামলে জয়ের গল্পটা রচনা করেন হোপ ও রুদারফোর্ডের। দু'জনের ব্যাট থেকে আসে ৯৯ রানের জুটি। হোপ ৮৮ বলে চারটি ছক্কা ও তিনটি চার মেরে সাজঘরে ফেরার আগেই ম্যাচের গতিপথ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
১৪ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত হওয়ার আগেই অবশ্য সাজঘরে ফিরেন রুদারফোর্ড। ফেরার আগে ৮০ বলে ১১৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। তার এই ইনিংসে আটটি ছক্কার সঙ্গে সাতটি চার ছিল। জাস্টিন গ্রেভসকে নিয়ে ৯৫ রানের জুটি গড়েন তিনি।
শেষ দিকে রোস্টান চেসকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন ৪১ রানে অপরাজিত থাকা জাস্টিন গ্রেভস। ৩১ বলের ইনিংসে ৫টি চার মারেন জাস্টিন গ্রেভস। অন্যপ্রান্তে ২ রানে অপরাজিত ছিলেন রোস্টান চেস।
বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারের স্বাদ দেওয়া ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ব্যাট হাতে ১১৩ রানের ইনিংস খেলা রুদারফোর্ড।
এ হারে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ মাঠে গড়াবে ১০ ডিসেম্বর।