ব্যাট হাতে ৯ নম্বরে নেমে ৩১ বলে ৩২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে পাকিস্তানের জয় ছিনিয়ে নিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।উত্তেজনাপূর্ণ সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে অসিরা।
এ জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেকর্ড স্পর্শ করলো অস্ট্রেলিয়া। ১৩৭ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় আছে ৭১টি। ১০৯ ম্যাচ খেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭১তম জয়ের স্বাদ নিলো অস্ট্রেলিয়াও।
সোমবার (৪ নভেম্বর) মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৪ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্কের শিকার হয়ে আব্দুল্লাহ শফিক ১২ ও সাইম আইয়ুব ১ রানে সাজঘরে ফিরেন।
তৃতীয় উইকেটে ৩৯ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম ও বর্তমান দলনেতা মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৪টি চারে ৩৭ রান করা বাবরকে শিকার করে জুটি ভাঙেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার এডাম জাম্পা।
বাবরের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। বড় জুটি না হাওয়ায় ৪৬.৪ ওভারে ২০৩ রানে অলআউট হয় তারা। শেষ দিকে নাসিম শাহর ১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪০ রানে কোন মতে ২’শ পার করে পাকিস্তান ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন রিজওয়ান। তার ৭১ বলের ইনিংসে ২টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্টার্ক ৩টি, কামিন্স ও জাম্পা ২টি করে উইকেট নেন।
২০৪ রান তাড়া করতে নেমে চতুর্থ ওভারে দলীয় ২৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ম্যাথু শর্ট ১ ও জ্যাক-ফ্রেজার ম্যাকগার্ক ১৬ রানে আউট হন।
তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে পাকিস্তানের বোলারদের উপর চড়াও হন স্টিভেন স্মিথ ও জশ ইংলিশ। ৭৫ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর তিন অংকে নিয়ে যান।
দলীয় ১১৩ রানে স্মিথকে বিদায় দিয়ে পাকিস্তানকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পেসার হারিস রউফ। ৬টি চারে ৪৪ রান করেন স্মিথ। অন্যপ্রান্তে আরেক সেট ব্যাটার ইংলিশকে আউট করে পাকিস্তানকে খেলায় ফেরান দলের সেরা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৯ রান করেন ইংলিশ।
এরপর ১৬ রানের ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার আরও ৩ উইকেট তুলে নেন রউফ ও মোহাম্মদ হাসনাইন। রউফের বলে মার্নাস লাবুশান ১৬ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল গোল্ডেন ডাক মারেন।
অ্যারন হার্ডিকে ১০ রানে বিদায় দেন হাসনাইন। এতে ৪ উইকেটে ১৩৯ থেকে ৭ উইকেটে ১৫৫ রানে পরিণত হয় পাকিস্তান। অষ্টম উইকেটে সিন অ্যাবটকে নিয়ে ২৭ বলে ৩০ রান যোগ করেন এক বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামা কামিন্স।
অষ্টম ব্যাটার হিসেবে অ্যাবট ১৩ রানে রান আউট হন। ঐ সময় জয় থেকে ১৯ রানে দূরে অস্ট্রেলিয়া। উইকেটে তখন অসিদের ভরসা ছিলেন কামিন্স।
নবম উইকেটে স্টার্ককে নিয়ে অপরাজিত ১৯ রান তুলে ৯৯ বল বাকী রেখে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেন কামিন্স। ৪টি বাউন্ডারিতে কামিন্স ৩২ ও স্টার্ক ২ রানে অপরাজিত থাকেন। রউফ ৩টি ও আফ্রিদি ২ উইকেট নিয়েছেন। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন স্টার্ক।