সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে সফররত শ্রীলঙ্কাকে ২৫৫ রানে অল আউট করে দিয়েছে বাংলাদেশ। শরিফুল-তাসকিন-সাকিবদের বোলিং তোপে ৭ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানদের ইনিংস। ফলে জয়ের জন্য টাইগারদের সামনে এখন লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৫৬ রান।
অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও জানিথ লিয়ানাগের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪৮.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান করে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। কুশল ৫৯ ও লিয়ানাগে ৬৭ রান করেন। বাংলাদেশের তিন পেসার শরিফুল ইসলাম-তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব ৩টি করে উইকেট নেন।
বুধবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তাসকিন-শরিফুল-তাইজুলদের কোন সুযোগ না দিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৯ বলে ৭১ রান যোগ করেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও আবিস্কা ফার্নান্দো। দশম ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে তানজিমের শিকার হন ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৩ বলে ৩৩ রান করা আবিস্কা। পরের ওভারে আবারও সাফল্য পান তানজিম। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৮ বলে ৩৬ রান করে আউট হন নিশাঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনারকে বিদায়ের পর নিজের তৃতীয় ওভারেও উইকেটের দেখা পান তানজিম। ৩ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। তানজিমের তোপে ৮৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা।
এরপর উইকেট পতনের ধাক্কা সামাল দিয়ে দলের রান ১শ পার করেন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও চারিথ আসালঙ্কা। ২৬তম ওভারে কুশল ও আসালঙ্কার জুটি ভাঙেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ৩৭ বলে ১২ রান করে মিরাজের বলে বোল্ড হন আসালঙ্কা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭৩ বলে ৪৪ রান যোগ করেন মেন্ডিস-আসালঙ্কা।
পঞ্চম উইকেটে জানিথ লিয়ানাগেকে নিয়ে ৬৮ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন কুশল। এই জুটিতে ওয়ানডেতে ২৯তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করে থামেন কুশল। পেসার তাসকিনের বলে মিড অনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দেন ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৫ বলে ৫৯ রান করা কুশল।
দলীয় ১৯৭ রানে কুশল ফেরার পর লিয়ানাগের সাথে পরের ব্যাটারদের বড় জুটি বাঁধতে দেননি তাসকিন। হাসারাঙ্গা ডি সিলভাকে ১৩ ও মহেশ থিকশানাকে ১ রানে শিকার ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশি এ পেসার। এরমধ্যেই ৫০ বলে ওয়ানডেতে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করেন লিয়ানাগে।
টানা তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ন করে ব্যক্তিগত ৬৭ রানে পেসার শরিফুলের বলে উইকেটরক্ষক মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন।লিয়ানাগে। ৬৯ বল খেলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান লংকান এ ব্যাটার।
দলীয় ২৪৪ রানে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে লিয়ানাগে ফেরার পর বাকী দুই উইকেটে শ্রীলঙ্কার রান বেশি দূর যেতে পারেনি। ৭ বল বাইক থাকতে ২৫৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের শরিফুল ৫১ রানে, তাসকিন ৬০ রানে ও তানজিম ৪৪ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। ৩৩ রানে ১ উইকেট পান মিরাজ।