বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ১১তম আসরের শিরোপা জিতলো নর্থ জোন। ওয়ানডে ফরম্যাটের এ আসরে ইস্ট জোনের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় তুলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিসিএল ওয়ানডে ফরম্যাটে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরলো নর্থ জোন। ম্যাচটিতে হোসাইন শাহাদাত দিপুরে অপরাজিত সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ গড়লেও হেরে রানারআপ হতে হয়েছে ইস্ট জোনের। অন্যদিকে, জয়ের ম্যাচে বল হাতে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন নাহিদ রানা।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইস্ট জোনের অধিনায়ক আকবর আলী। বিপরীতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৫ রানের সংগ্রহ গড়ে নর্থ জোন। ব্যাট হাতে দলের পক্ষে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের ৭৩ এবং হোসাইন শাহাদাত দিপুর অপরাজিত ১১৩ রানের ইনিংস খেলেন।
ইস্ট জোনের পক্ষে অপরাজিত ১১৩ রানের ইনিংস খেলেন হোসাইন শাহাদাত দিপু, ছবি: বিসিবি
ইমন-দিপু ছাড়া দলের পক্ষে বাকি ব্যাটারদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান জয় ১৬ এবং অধিনায়ক ও উইকেটকিপার ইরফার সুক্কুর ৩৬ রান করেন। ইস্ট জোনে পক্ষে বল হাতে ১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেন নাহিদ রানা। এর মাঝে একটি মেডেন ওভারও ছিল। বাকি এক উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম।
জয়ের লক্ষ্যে ২৭৬ রান তাড়া করতে নেমে শাহাদাত হোসেন দিপুর সেঞ্চুরিকে ম্লান করে ৩৮ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে নর্থ। প্রিতম কুমার এবং আকবর আলীর জোড়া ফিফটিতে ৪৩.৪ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইস্ট জোন। ব্যাট হাতে আকবর আলী ৫৩ ও নাহিদুল ইসলাম ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন নাহিদ রানা, ছবি: বিসিবি
এছাড়া দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন প্রীতম কুমার। দলীয় ১৭৮ রানে ৫ উইকেট পড়ে গেলে প্রীতম-আকবরের ৮০ রানের জুটিতে জয়ের দিকে এগিয়ে যায় ইস্ট জোন। প্রিতম ৮৬ বলে ৭৬ এবং আকবর আলী ৫৯ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেন। এছাড়া দলের পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেওয়া নাহিদ রানার হাতে উঠেছে ফাইনাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। লিস্ট-এ ক্রিকেটে এটি তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ৪৯ রানে ২ উইকেট।