প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হারলেও ছেড়ে কথা বলেনি বাংলাদেশ। স্বাগিতিক নিউজিল্যান্ডকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে দিয়েছে বোলাররা। নিজেদের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে শতরানও করতে দেয়নি শরিফুল-সাকিব-সৌম্যরা। ৩১.৪ ওভারে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাট হাতে অধিনায়ক শান্তর ফিফটিতে ৯ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ম্যাচ জিতে শান্ত-সৌম্যরা গড়লেন নতুন ইতিহাস।
স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কখনো ওয়ানডে ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এবারের সফরেও প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হার নিশ্চিত হয়েছিল টাইগারদের। তবে ছাড়ের পাত্র নন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। শেষ ম্যাচের আগে সংবাদ মাধ্যমর সাথে কথা বলার সময় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, “আমি এখনও বিশ্বাস করি নিউজিল্যান্ডের মাঠে তাদের হারানোর ক্ষমতা আমাদের আছে। আমি প্রতিটি ম্যাচকে সুযোগ হিসেবে দেখি। আমার বিশ্বাস আমরা ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারবো।”
শান্তর সেই বিশ্বাসকে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সহজ করে দিয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেওয়ার পর বল হাতে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের উপর চড়াও হয়েছেন টাইগার বোলাররা। ৩১.৪ ওভারেই নিউজিল্যান্ডকে শত রানের নিচে গুটিয়ে দিয়ে বোলাররা।
৯৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ব্যাট হাতে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেছেন ওপেনার উইল ইয়ং। এছাড়া দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করে অধিনায়ক টম ল্যাথাম। নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ৯৮ রানে গুটিয়ে দেওয়া পথে বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব এবং সৌম্য সরকার। এছাড়া বাকি একটি উইকেট নিজের করে নেন মোস্তাফিজুর রহমান।
৯৯ রানের লক্ষ্যে ওপেনিং করতে নেমে দলীয় ১৫ রানে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়ে মাঠ ছাড়েন সৌম্য সরকার (৪*)। এরপর দলীয় ৮৪ রানে এনামুল হক বিজয় ফিরলে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে ৬৯ রানের জুটি গড়েন তিনি।
বিজয়ের করা ৩৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে ৭টি চারের মার ছিল। এরপর লিটদ দাসকে সাথে নিয়ে বাকি কাজটুকু একাই করে শান্ত। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে দলকে নিয়ে যান ইতিহাসর পাতায়। শান্ত অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংসে কোন ছক্কার মার না থাকলেও ৮টি বাউন্ডারির ছিল। শান্তকে ফিফটি করতে সঙ্গ দেওয়ায় অন্যপ্রান্তে মাত্র ২ বল খেলে ১ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন দাস।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ম্যাচ জয়ের ইতিহাস রচনার ম্যাচে সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। কারণ, বল হাতে নিউজিল্যান্ডকে ধসিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন তিনি। সাত ওভার বল করে মাত্র ১৪ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন ৩টি উইকেট।