অবশেষে রানের দেখা পেলেন সৌমৗ সরকার। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ১৬৯ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারের তৃতীয় এ শতকের পাশাপাশি দেশের হয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটার মালিক এখন সৌম্য। তামিম ইকবালকে টপকে যাওয়া সৌম্য সামনে রয়েছেন আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস।
জাতীয় দলের জার্সি পড়া থেকে প্রায় বাতিলের খাতায় চলে গিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। তবে লঙ্কান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আবারও প্রধান কোচ হয়ে আসায় ভাগ্যের পালে লাগে হাওয়া। বিশ্বকাপের আগে পরীক্ষায় পাস করতে না পারায় যাওয়া হয়নি ভারতে। তবে বিশ্বকাপ শেষে নিউজিল্যান্ড সফরে আবারও হাথুরুর ডাক পান সৌম্য।
সৌম্য নিয়ে বাজি ধরলেও সিরিজের প্রথম ম্যাচে হতাশ করেন তিনি। এনামুল হক বিজয়ের সাথে ওপেন করতে নেমে সাজঘরে ফিরেন খালি হাতে। এরপর সৌম্যর উপর আস্থা রেখে দ্বিতীয় ম্যাচেও একাদশে রাখা হয়। এবার সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন সৌম্য সরকার।
এনামুল হক বিজয়ের সাথে ওপেন করতে নেমে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেললেন সৌম্য। ১৫১ বলে ১৬৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। টাইগার রূপে ফেরা সৌম্য সরকারের এ ইনিংসে ২২টি চার ও ২টি ছক্কার মার ছিল। ক্যারিয়ারের এই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলার পথে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসের দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নেন তিনি।
২০২০ সালে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা তামিম ইকবালের ১৫৮ রানের ইনিংসকে টপকে যায় সৌম্য। ১৫৮ রান নিয়ে এতোদিন ওয়ানডে ক্রিকেটে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলার পথে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তামিম। তবে নিউজিল্যান্ডে বিপক্ষে ১৬৯ রানের ইনিংস খেলে তামিম ইকবালকে ফিছনে ফেললেন সৌম্য।
A special knock from Soumya Sarkar, applauded by the Saxton Oval crowd #NZvBAN pic.twitter.com/tfFoYh4UGD
— BLACKCAPS (@BLACKCAPS) December 20, 2023
তবে সৌম্য সামনে প্রথম স্থানটিও দখল করার দারুণ সুযোগ ছিল। মাত্র ৭ বেশি ১৭৬ রানের ইনিংস নিয়ে এক নম্বরে রয়েছেন লিটন দাস। লিটন দাসও ২০২০ সালে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ ইনিংস খেলেছিলেন।
দেশের হয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলায় চতুর্থ স্থানটিও তামিম ইকবালের দখলে। ২০০৯ সালে বুলাওয়ে সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫৮ রান করেছিলেন তামিম। এছাড়া সমান ১৪৪ রান নিয়ে পঞ্চম স্থানে মুশফিকুর রহীম এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন ইমরুল কায়েস। দু'জনেই ২০১৮ সালে করেছিলেন।