জয়ের ধারায় ফিরতে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এবার আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে দুই দলই টানা হারের বৃত্তে রয়েছে। তবে বাংলাদেশ ৬ ম্যাচে মাত্র ১ জয় এবং পাকিস্তান সমান সংখ্যক ম্যাচে ২ জয়ে এগিয়ে রয়েছে।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয়ের পর বাজে পারফরমেন্সে হারের বৃত্তে বন্দি বাংলাদেশ দল। সর্বশেষ ইডেন গার্ডেন্সে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারসহ টানা পাঁচটিতে পরাজিত হয়েছে টাইগাররা।
বাজে পারফরমেন্সের কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কঠোর সমালোচনায় মেতে উঠে ক্রিকেট বিশ্ব। টাইগারদের খেলা দেখতে কলকাতায় আসা বাংলাদেশি সমর্থকরা গ্যালারি থেকে অধিনায়ক সাকিবকে উদ্দেশ্য করে দুয়োধ্বনি দেয়। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনা ঝড় তুলে ভক্তরা।
তবে সবকিছু পেছনে ফেলে নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানকে সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। নেদারল্যান্ডস এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ জয়ের পর পথ হারায় পাকিস্তান।
বাংলাদেশের মত হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে পাকরাও। ভারত-অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টানা চার ম্যাচ হেরেছে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। আফগানিস্তানের কাছে পরাজিত হয়ে বড় ধাক্কা খাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হওয়ায় মনোবল অনেকটাই ভেঙে গেছে পাকিস্তানের।
তৃতীয়বারের মত বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপ অভিষেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম মোকাবেলায় ৬২ রানের জয়ে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়া সহজ হয়েছিল টাইগারদের।
গত আসরে বাংলাদেশের সাথে দ্বিতীয় সাক্ষাৎতে ৯৪ রানের জয়ে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে হারের প্রতিশোধ নেয় পাকিস্তান। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে ৩৮বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এর মধ্যে বাংলাদেশ মাত্র ৫টিতে জয় পায় এবং ৩৩টিতে হেরে যায়। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে দেখা হয়েছিল দু’দলের।
ওই ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। তবে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) জয়ের জন্য মরিয়া হয়েই মাঠে নামতে যাওয়া বাংলাদেশ-পাকিস্তান উভয় দলেই আসতে পারে কিছৃু পরিবর্তন।
বাংলাদেশ দল
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, মাহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান।
পাকিস্তান দল
বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, আবদুল্লাহ শফিক, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সৌদ শাকিল, ইফতিখার আহমেদ, আঘা সালমান, মোহাম্মদ নাওয়াজ, উসামা মির, হারিস রউফ, হাসান আলি, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ ওয়াসিম।