চলমান বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে প্রতি ম্যাচেই রান বন্যা ভাসিয়ে দিচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। বাংলাদেশের বিপক্ষেও একই অবস্থা। শঙ্কা সত্য করে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৩৮২ রানের সংগ্রহ গড়েছিল প্রোটিয়ারা। পাহাড়সহ রানের নিচে পড়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরিতেও বড় হারের লজ্জা পেল বাংলাদেশ।
কুইন্ট ডি ককের সেঞ্চুরি এবং হেনরিচ ক্লাসেন-অধিনায়ক আইডেন মার্করামের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রানের পাহাড় গড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ব্যাট হাতে ডি কক ১৪০ বলে ১৭৪, ক্লাসেন ৪৮ বলে ৯০ এবং মার্করাম ৬৯ বলে ৬০ রান করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটারদের উইকেটে যাওয়া-আসার দৌড়ে ৪৬.৪ ওভারে ২৩৩ রান করে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরির ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশের বাকি ব্যাটাররা। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ১২, লিটন কুমার দাস ২২ করে সাজঘরে ফিরেন।
এছাড়া গোল্ডেন ডাক মারেন নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিবও ফিরেন মাত্র ১ রানে। শান্ত-সাকিব ফেরার পর ব্যাট হাতে মুশফিকুর রহীমও (৮) হতাশ করেন। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ (১১), নাসুম আহমেদ (১৯), হাসান মাহমুদ (১৫), মোস্তাফিজুর রহমানের (১১) সাথে জুটি গড়ে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি হাঁকান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। একাদশ ব্যাটার হিসেবে শরিফুর ইসলাম ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কুইন্ট ডি কক ১৪০ বলে ১৭৪, ক্লাসেন ৪৮ বলে ৯০ এবং মার্করাম ৬৯ বলে ৬০ রানে ভর করে ৩৮২ রানের বিশাল স্কোর গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রোটিয়া ব্যাটারদের বিপক্ষে বল হাতে হাসান মাহমুদ ৬ ওভারে ৬৭ রানে ২টি, মিরাজ-শরিফুল ও সাকিব ৯টি করে ওভার করে ১টি করে উইকেট নেন। উইকেটশূণ্য ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।