বিশ্বকাপের শুরু থেকেই খেলতে পারেননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ফিরলেও আঙুলে মাঠেচোট পেয়ে আবারও যেতে হলো মাঠের বাইরে। বিশ্বকাপে নিজেদের আগামী তিন ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি।
এসিএল ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার প্রায় ছয়মাস পর শুক্রবার বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেছিলেন উইলিয়াসন। মার্চে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে গিয়ে তিনি ইনজুরিতে পড়েছিলেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে ৭৮ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরে আসেন উইলিয়ামসন। ৩৮তম ওভারে রান নিতে গিয়ে শান্তর থ্রোতে আঙুলে ব্যাথা পেলে পরের ওভারেই উইলিয়ামসন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হন।
নতুন করে ইনজুরির কারণে ১৮ অক্টোবর চেন্নাইয়ে আফগানিস্তান, ২২ অক্টোবর ধর্মশালায় ভারত ও ২৮ অক্টোর পুনেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পারবেন না উইলিয়ামসন। এখন তার সুস্থতার উপর নির্ভর করছে নভেম্বরে আরও তিনটি লিগ ম্যাচে তিনি খেলতে পারবেন কিনা সেটাও।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃবিতে বলা হয়েছে, “এক্স-রে’তে নিশ্চিত দেখা গেছে উইলিয়ামসনের বাম আঙুলের উপরের দিকে চিড় ধরেছে। ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিশ্বকাপ দলে উইলিয়ামনসন থাকবেন। আশা করছি আগামী মাসের ম্যাচগুলোতে তিনি ফিরে আসতে পারবেন।”
উইলিয়ামসন ইতিমধ্যেই পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তার জায়গায় টম ব্লান্ডেল ভারত সফরে দলের সাথে যোগ দিলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি স্কোয়াডের অংশ হবেন না।
এদিকে, কোচ গ্যারি স্টিড উইলিয়ামসনের ফিরে আসা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বলেন, “কঠোর পরিশ্রম করে কেন হাঁটুর ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছে। কেনের নতুন ইনজুরির বিষয়টি আমাদের সবার জন্যই হতাশার। তবে প্রাথমিক পরীক্ষায় যা ধরা পড়েছে তাতে আমরা আশাবাদী হতেই পারি।”
তিনি আরও বলেন, “পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুনর্বাসনে দ্রুতই সে দলে ফিরবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। কেন নিঃসন্দেহে আমাদের দলের অনেক বড় একটি অংশ। সে একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় ও অধিনায়ক। সে কারণেই আমরা তাকে প্রতিটি সুযোগ দিতে চাই।”