বিশ্বকাপে ওপেনিং জুটি থেকে বড় সংগ্রহ পাচ্ছে না বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে লিটন দাস রানে ফিরলেও তানজিদ হাসান তামিমেন ব্যাট হাসছে না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর ওপেনিং জুটি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন খোদ প্রধান কোচ। তবে নিউজিল্যান্ডে বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের সহ অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত বললেন, ওপেনিং চিন্তা বাদ দেওয়া উচিত।
ভারতের ধর্মশালা দুটি ম্যাচ শেষে এবার চেন্নাইয়ের মাঠে নামছে বাংলাদেশ। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) চেন্নাইয়ে নিউজিল্যন্ডের বিপক্ষে খেলতে নামবে টাইগাররা। তার আগে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন শান্ত।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যে প্ল্যান নিয়ে গেছে, ওপেনিং জুটি সেখানে কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে কি না জানতে চাইলে শান্ত বলেন, “আমার মনে হয় এই ওপেনিং নিয়ে আমরা চিন্তাই না করি। মানে এ চিন্তাটাই মাথা থেকে বাদ দিয়ে দেই। আমার কাছে মনে হয় যে, এখানে টপ অর্ডারে যারাই ব্যাটিং করছে, সবাই খুব ভালো মতো প্রস্তুতি নিয়েই আসছে।”
তিনি বলেন, “আমার মনে হয় যে, একটা বা দুই ভালো ইনিংস ওই ব্যাটারের আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে। বাট আমার মনে হয় না যে এখানে কেউ রিলাক্স আছে বা টিমের জন্য চেষ্টা করছে না। সবাই চেষ্টা করছে, আশা করছি সামনের ম্যাচ থেকে টপ অর্ডারে ভালো স্কোর আসবে।”
ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে শান্ত বলেন, “সে সবে মাত্র পাঁচ/ছয়টা ম্যাচ খেলছে। আমার কাছে মনে হয় প্রত্যেকটা প্লেয়ারই..., কারো একটু সময় লাগে, কারো একটু কম সময় লাগে। বাট সবার ওই বিশ্বাসটা রাখা উচিত তার (তানজিদ তামিম) উপরে। প্রত্যেকেই যেন ওকে আমরা সাপোর্ট করি এবং বিশ্বাস করি। কারণ এখানে (বিশ্বকাপ) যারাই আসছে সবাই ক্যাপাবল, ভালো করার জন্য। সো, আশা করছি সামনের ম্যাচে ভালো কিছুই করবে।”
ব্যাট হাতে ভালো ফর্মে রয়েছেন শান্ত। বিশ্বকাপে দলের জন্য বাকি ব্যাটারদের ভালো করতে ফ্রিডম আশা করেন তিনি। নাজমুল হাসান শান্তর ধারণা, সাহসের সাথে চাপমুক্ত ব্যাটিং করতে পারলে ভালো খেলা সম্ভব এবং এটা গুরুত্বপূর্ণ।
শান্ত বলেন, “আমার কাছে একটা জিনিসই মনে হয়েছে যে, এখানে কত বেশি সাহস নিয়ে ব্যাটিং করতেছি, কতটুকু ফ্রিডম (চাপমুক্ত) নিয়ে ব্যাটিং করতেছি এটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপে যারা রান করতেছে আমার কাছে মনে হয়েছে খুব আরামেই রান করছে।”
সো মন খুলে ব্যাটিং করাটা গুরুত্বপূর্ণ, ফ্রিডম নিয়ে ব্যাটিং করাটা গুরুত্বপূর্ণ। সবাই এখানে স্কিলফুল, সো সবাই যদি চাপমুক্তভাবে ব্যাটিং করি তাহলে ভালো করা সম্ভব। কারণ কোচিং স্টাফ, ক্যাপ্টেন সবার কাছ থেকে আমাদের ওই ফ্রিডমটা আছে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেস উইনিট সফল হতে পারছে না। তবে শান্ত জনান, বিশ্বকাপে বড় রান হওয়াটাই স্বাভাবিক এবং পেস উইনিটে হঠাৎ রান বেশি দেওয়ায় সবার চোখে পড়েছে। একই সাথে তিনি জানান, আরও ১০ শতাংশ উন্নতি করতে পারলে এ সমস্যাও থাকবে না।
টাইগারদের সহ অধিনায়ক বলেন, “কোন পেস বোলারই হতাশ না, সবাই ঠিক আছে। এখানে উইকেটটাই এমন, রান স্বাভাবিকভাবেই বেশি দিবে। কারণ, আমরা নরমালি দেখি না যে, আমাদের পেসাররা ১০ ওভারে ৭০, ৬০, ৬৫ দেয়। তো হঠাৎ করে এসে দেখি যে, অনেক খারাপ বোলিং হচ্ছে, তবে জিনিসটা এ রকম না।”
তিনি আরও বলেন, “সবারই একটা প্ল্যান আছে, তারাও ওভাবে কষ্ট করছে। আমি বিশ্বাস করি যে, আমারদের পেস বোলাররা যেখানে অবস্থায় আছে, এখান থেকে আর ১০ শতাংশ উন্নতি করে তাহলে আরও ভালো অবস্থানে যেতে পারবো।”