নিয়মিত অধিনায়ক ইনজুরিতে থাকা কেন উইলিয়ামসনের উন্নতিতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিড। ফলে শুক্রবার চেন্নাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ফিরতে পারেন তিনি। এছাড়া ফিরতে পারেন অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার টিম সাউদিও।
সংবাদ সম্মেলনে কিউই কোচ বলেছেন, “তার (উইলিয়ামসন) অবস্থার দারুণ উন্নতি হয়েছে। শেষ ৫/৬ দিন ধরে দারুণ দেখাচ্ছে। এ মুহূর্তে এটিই কেনের মুল খবর। এখন তার মধ্যে ইনজুরির লক্ষণ খুব একটা নেই। নিয়মিতভাবেই উইকেটে দৌঁড়াচ্ছে, ফিল্ডিংয়ের দক্ষতা দেখে মনে হচ্ছে সে ৫০ ওভারের ম্যাচে খেলার মতো সক্ষমতা ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, “তার বর্তমান অবস্থানে আমরা খুশি। তার জন্য আমাদের আরও দুটি অনুশীলন বাকি আছে। তবে এ পর্যায়ে তাকে দেখে খেলায় ফেরার মতো অবস্থানে আছে বলেই মনে হচ্ছে।”
চলতি বছরের শুরুতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ইনজুরিতে পড়ার পর ফিটনেস ফিরে পাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন উইলিয়ামসন। পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের হয়ে অনুশীলন ম্যাচে অংশ নিলেও বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে রাখা হয়নি উইলিয়ামসনকে। ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওই দুই ম্যাচে সহজ জয় পেয়েছে কিউইরা।
তবে উইলিয়ামসন একাদশে ফিরলে কাকে বাদ দেওয়া হবে সেটি নিশ্চিত করেননি স্টিড। বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাটিং করে সফল হয়েছেন রাচিন রবীন্দ্র। করেছেন একটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ সেঞ্চুরি।
স্টিড বলেন, “কেন সুস্থ হয়ে ফিরে তিনি যে একাদশে থাকবেন সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তিনি বিশ্বের সেরা খেলোয়াদড়ের একজন। এই মুহূর্তে আমরা আলোচনা করছি কিভাবে তাকে পরিপূর্ণ সুস্থ করা যায়। উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, আমরা প্রথম ম্যাচে জিমি নিশামকে দলে নিলেও দ্বিতীয় ম্যাচে রাখিনি।”
তিনি আরও বলেন, “কন্ডিশন বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সময় সেটিকেই আমরা সেরা দল মনে করেছি। প্রতিপক্ষ দলের অবস্থা বিবেচনায় এনেও আমরা আলোচনার ভিত্তিতে যাদের ভালো মনে করব তাদেরকেই সুযোগ দেব।”
এদিকে, ইনজুরি কাটিয়ে সাউদিও মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত। স্টিড বলেন, “নির্বাচনের জন্য টিমকে পাওয়া যাবে। মনে হচ্ছে তার ইনজুরিগ্রস্ত বৃদ্ধাঙ্গুলটি ভালোভাবে সেট হয়ে গেছে। বিগত কয়েকটি অনুশীলনে পূর্ণ সামর্থ্য নিয়েই বল করেছেন তিনি।”
বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। নিজেদের খেলা দুটি ম্যাচেই দাপট দেখিয়ে জয় তুলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে তারা। যেখানে বাংলাদেশ দুটি ম্যাচ খেলে এক জয় ও এক পরাজয় নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে।