বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৩৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ১০ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় ছিনিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রিজওয়ান ১৩১ রানে অপরাজিত থেকে পাকিস্তানকে জয় উপহার দেন। এছাড়া ওপেনার আব্দুল্লাহ শফির ১০৩ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিসহ ১১২ রানের ইনিংস খেলেছেন। ম্যাচ সেরা মোহাম্মদ রিজওয়ান বলেছেন, বড় টার্গেট তাড়া করার ব্যপারে পাকিস্তান আত্মবিশ্বাসী ছিল।
নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসই জয়ের মূলমন্ত্র ছিল উল্লেখ করে রিজওয়ান বলেন, “আমরা জয়ের লক্ষ্য তাড়া করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।”
ওয়ানডে বিশ্বকাপে রান তাড়া করে জয়ের ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১১ সালে ব্যাঙ্গালোরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩ উইকেটে জয়ী হয়েছিল আয়ারল্যান্ড যা এতদিন পর্যন্ত বিশ্বকাপে রেকর্ড ছিল।
তৃতীয় উইকেটে শফিকের সাথে ১৭৬ রানের পার্টনারশীপ গড়েন রিজওয়ান। শফিকের প্রশংসা করে রিজওয়ান বলেছেন, “সে খুবই ভালো খেলেছে। স্কোরবোর্ডে যখন ৩৪৫ রানের টার্গেট থাকে তখন একজন ওপেনার হিসেবে মাথার উপর অনেক বড় বোঝা থাকে। তখন ব্যাট হাতে অনেক বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।”
রিজওয়ান জানান শেষ ২০ ওভারে টার্গেট সেট করার পরিকল্পনা তাদের ছিল, “এটা ব্যাটিং সহায়ক উইকেট ছিল। সে কারনে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বোর্ডের দিকে তাকাবো না। শেষ ২০ ওভারে টার্গেট স্থির করবো। সেটাই করেছি, সফলও হয়েছি। শফিক ইনিংস গড়ে দিয়ে গেছে। যে কারনে রান তাড়া করা সহজ হয়েছে।”
শেষ ২০ ওভারে পাকিস্তান ১৬৩ রানে লক্ষ্য তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নেয়। ভারতের বিপক্ষে একই ম্যাচে একই পরিকল্পনা নিয়ে পাকিস্তান মাঠে নামবে উল্লেখ করে রিজওয়ান বলেন, “আমাদের পরবর্তী ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে। আজকের ম্যাচটি আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে। এই একই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা মাঠে নামবো।”
শ্রীলঙ্কা স্পিনার মাহিশ থিকশানা বলেছেন তার দলে অন্তত ২০ রান কম হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমি মনে করি শেষ ১০ ওভারে আমাদের আরো ২০ রান করা উচিত ছিল। এমনকি বোলিংয়েও আমরা অনেক ভুল করেছি। আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে কোন অযুহাত দেবার কিছু নেই। সত্যি বলতে কি শেষ ১০ ওভারে উইকেট কিছুটা মন্থর হয়ে গিয়েছিল। পাকিস্তান অনেক বেশী স্লোয়ার ডেলিভারি দিয়েছে। আমরা আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারিনি।”