মেহেদী হাসান মিরাজ; বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রথমে বোলার হিসেবে জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া এ টাইগার ক্রিকেটার ব্যাট করেছেন আট নম্বরে। তবে ক্রমেই নিজেকে প্রমাণ করে ব্যাটিং লাইনআপে উঠে এসেছেন উপরে। এমনকি ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরিও। সর্বশেষ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়ান ডাউনে নেমে খেলেছেন ফিফটির ইনিংস।
ম্যাচ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ জানালেন, একজন ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসেবে যেকোন পজিশনে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দলের প্রয়োজনে সবাইকেই পারফর্ম করতে হবে।
নিজের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে মিরাজ বলেন, “আমরা ক্রিকেট প্লেয়ার, আমদের এডজাস্ট করাটাই ইমপোটেন্ট। শুধু আমি না, আমাদের প্রত্যেকটা প্লেয়ার এডজাস্ট করেই আসছে। আমি যে জিনিসটা চিন্তা করেছি, ৮ নম্বরে ব্যাট করার সময়। আট নম্বরে সম সময় সুযোগ পাওয়া যায় না, বড় ইনিংস খেলার। সেখানে আমি যদি (উপরে) সুযোগ পাই, আমি যেন শতভাগ দিতে পারি, এটা যেকোন পজিশনেই হোক না কেন। এইভাবেই নিজেকে মেন্টালি প্রস্তুত করেছি।”
তিনি বলেন, “আমি ব্যাটিং নিয়ে অনেক কাজ করেছি, চিন্তা করেছি যে কিভাবে ব্যাটিং করলে আমরা জন্য ভালো হবে। কারণ, দিন শেষে আমি যদি ব্যাটিং ভালো করি, টিম অনেক লাভবান হবে। নিজেকে ওভাবে মেন্টালি প্রস্তুত করেছি এবং খেলার চেষ্টা করেছি। টিমও আমাকে সাপোর্ট করেছে। তারা আমাকে বিভিন্ন জায়গায় সুযোগ দিয়েছে। অবশ্যই এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া। আমিও ভালো খেলছি, এটা অবশ্যই আমার জন্য ভালো একটা দিক।”
জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৫/৬টি পজিশনে ব্যাট করেছেন মিরাজ। অনেক সময় সমস্যা হলেও তা দ্রুত মানিয়ে নিয়েছেন বলেও জানান তিনি। বলেন, “বিভিন্ন পজিশনে বিভিন্ন পরিস্থিতি থাকে, তবে আমি বেশি কিছু চিন্তা করেনি ওভাবে আসলে। আমার কাছে মনে হয়েছে সুযোগ আসছে, আমি চেষ্টা করবো কাজে লাগাতে। আমি দেখেন যে, আট নম্বরে ব্যাটিং করার চেয়ে উপরে ব্যাটিং করা ভালো। আমি বিশ্বাসও করি আমি ব্যাটিং করতে পারি।”
“অবশ্য অনেক সময় সমস্যা হয়, তবেট ওটা মাথায় নেই না। চিন্তা করে যেখানেই দেখ না কেন, টিমের প্রয়োজনে আমাকে ভালো পারফর্ম করতে হবে।” যোগ করেন মিরাজ।
তাসকিনের উদাহরণ টেনে আনায় মিরাজ বলেন, “তাসকিন ভাই প্রায় ৩ বছর টিমে ছিলেন না। সে কিন্তু অনেক হার্ডওয়ার্ক করেছে। অনেক পরিমাণে কষ্ট করেছে এবং কামব্যাক করেছে। যখন কামব্যাক করেছে তখন অনেক ভালোভাবেই করেছে। সর্বশেষ ৩ বছর তাসকিন ভাই যে পরিশ্রম করেছে তার ফল এখন পাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আর আমার কথা, যেটা বললেন, আমি যদি ব্যাটিংটা করতে পারি দিন শেষে আমিও বেনিফিটেড হবো, টিমও বেনিফিটেড হবে। তো হোয়াই নট, কেন ভালো ব্যাটিং করবো না। আমি সব সময় ব্যাটিং প্র্যাকটিস করার চেষ্টা করি, আমি যাদেরকে পছন্দ করি তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি যে, কিভাবে উন্নতি করা যায়।”