ওয়ানডে ক্রিকেটে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা অবস্থায় ভারত বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ফেভারিট দলগুলোর একটি হিসেবেই আলোচনায় ছিল। তবে এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার কাছে দুই ইউকেট এবং চির প্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের কাছে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানের পরাজয় পাকিস্তানের সেই প্রত্যাশাকে ক্ষীণ করেছে। তবে বিশ্বকাপে জয়ে ফিরে সেই ধারাবাকিতা ধরে রাখতে চায় পাকিস্তান।
বিশ্বকাপে পাকিস্তান দল নিয়ে আশাবাদী টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার। বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেছেন, “নাসিমের মতো মেধাবী খেলোয়াড়কে হারানোটা অবশ্যই একটি বড় ধাক্কা। তবে তরুণ ও অভিজ্ঞ বোলারদের নিয়ে গড়া দলটি আরও বেশি সামর্থ্যবান এবং চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।”
ভারত বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জে দলটির নতুন করে ধাক্কা হিসেবে এসেছে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ফাস্ট বোলার নাসিম শাহ’র ইনজুরি। কাঁধের ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। তবে ঘাটতি মেটাতে গত মাসে আঙুলের অস্ত্রোপচার শেষে ফিটনেস ফিরে পাওয়া অভিজ্ঞ পেসার হাসান আলীকে দলে ডেকেছে পাকিস্তান।
সাম্প্রতিক কিছু ব্যর্থতা সত্ত্বেও দলটিকে নিয়ে বেশ আশাবাদী ২০১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করা আর্থার। সে আসরে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠার আগেই পাকিস্তানকে বিদায় নিতে হয়েছিল।
ভারত বিশ্বকাপ সামনে রেখে আর্থার বলেন, “পরিস্থিতি পাল্টে দেওয়ার মতো যথেষ্ঠ সামর্থ্য এ দলটির আছে। মনে রাখতে হবে এশিয়া কাপের আগেও আমরা বিশ্ব র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ছিলাম। আমরা শুধু দুটি ম্যাচে হেরেছি। যে কোন পরিস্থিতিতে এগিয়ে যাওয়ার মতো দক্ষতা এ দলটির আছে।”
এদিকে, মাঠের লড়াইয়ে অধিনায়ক বাবর আজমকে দ্বিমুখী চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হবে। নিজের নেতৃত্বকে সমালোচনার হাত থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি দলীয় পারফর্মেন্সের উন্নতির দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।
তবে সমস্যা কাটিয়ে উঠবে বলে আশাবাদী বাবর। তিনি বলেছেন, “এশিয়া কাপে হোঁচট খাওয়া সত্ত্বেও আমাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি সঠিক পথেই রয়েছে।”
এদিকে, বিশ্বকাপে পাকিস্তান যদি অন্তত সেমিফাইনালে খেলার আশা জিইয়ে রাখতে চায়, তাহলে মিডল অর্ডারে সর্বোচ্চটা দিতে হবে উইকেট রক্ষক-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইফতেখার আহমেদ, আগা সালমান ও সৌদ শাকিলকে। সর্বশেষ ২০১১ সালে বিশ্বকাপের শেষ চারে খেলেছিল পাকিস্তান। খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছির পাকিস্তানিরা।