ভারতের অনুষ্ঠিতব্য আইসিসির ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩ আসরটি শুরুতেই খোরাতে শুরু করছে। দেরীতের সূচি ঘোষণা করার পর বেশ কয়েকটি ম্যাচে পরিবর্তন আনা হলেও সমস্যা কমছে না। নতুন করে আবার সূচি পরিবর্তনের দাবি তোলা হয়েছে। পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচটি আয়োজনে অপরাগতা প্রকাশ করেছে হায়দারাবাদ।
পূর্ব ঘোষিত সূচি থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার ১৫ অক্টোবরের পরিবর্তে ১৪ অক্টোবর করা হয়। একইভাবে পাকিস্তান -ইংল্যান্ডের ১২ নভেম্বরের ম্যাচটি সূচি পরিবর্তন করে ১১ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়। ওই দুই ম্যাচের সূচি পরিবর্তনের ফলে আরও ৭টি ম্যাচের সূচি পরিবর্তন করতে হয়েছে।
বিশ্বকাপ শুরুর বাকি আর এক মাসও নেই। এরই মধ্যে আরেকটি সূচি পরিবর্তনের দাবি তোলা হলো। হায়দারাবাদ ক্রিকেট এসোসিয়েশন (এইচসিএ) এক মেইল বার্তায় বিসিসিআইকে অনুরোধ করেছে ২৯ সেপ্টেম্বর রাজিব গান্ধি স্টেডিয়ামের অনুশীলন ম্যাচের সূচি পরিবর্তনের জন্য। ওই ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড।
মূলত ওই ম্যাচের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে এইচসিএ। কারণ ২৮ সেপ্টেম্বর একই দিনে পড়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের গনেশ বিষর্জন ও মুসলমানদের সম্প্রদায়ের পবিত্র ঈদ উল মিলাদুন্নবি।
এর আগে ভারত বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার ১৫ অক্টোবরের ম্যাচটির সূচি পরিবর্তন করে ১৪ অক্টোবর করা হয়েছিল নবরাত্রি উৎসবের কারণে। একইভাবে দূর্গা পূজার কারণে কলকাতায় পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচের সূচি পরিবর্তন করা হয়েছিল।
এমনকি ৯ ও ১০ অক্টোবরের ম্যাচে নিরাপত্তা দিতে অপরাগতার কথা এইচসিএকে জানিয়ে দিয়েছে হায়দারাবাদ পুলিশ। ৯ অক্টোবর রাজিব গান্ধি স্টেডিয়ামে পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পরের দিন সেখানে মাঠে নামার কথা নিউজিল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের।
পাকিস্তানি দলের নিরাপত্তার জন্য বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েনের আবেদন করায় পর পর দুই ম্যাচে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে হায়দারাবাদ। কেবলমাত্র পাকিস্তান দলের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন হবে অন্তত তিন হাজার পুলিশ।
হায়দারাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, পর পর দুই ম্যাচ আয়োজনের জন্য এতো বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েনের তাদের সামর্থ্য নেই। হায়দারাবাদের এমন দাবিতে হয়তো আবারও পরিবর্তন হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের সূচি।