বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় সুপার ফোরে খেলতে হলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আফগানিস্তানকে জিততে হতো বড় ব্যবধানে। ২৯২ রানের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে সেই লক্ষ্যে পৌঁছেও গিয়েছিল নবী-শাহিদীরা। তবে শেষ মুহূর্তের ভুলে গ্রুপ পর্ব পেরুতে পারলো না। মাত্র ২ রানে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে তারা।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হারের কিনারায় পড়েও জয় পাওয়ার শেষ দল হিসেবে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা। এর ফলে ‘বি’ গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা সুপার ফোরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো।
চলমান এশিয়া কাপে সুপার ফোরে খেলতে হলে শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেওয়া ২৯২ রানের বিপরীতে আফগানিস্তানকে জয় পেতে হতো ৩৭.১ ওভারে। টপ অর্ডাররা ব্যর্থ হলেও সেই লক্ষ্যে প্রায় পৌঁছে গিয়েছিল আফগানিস্তান।
৩৭ ওভারে ২৮৯ রান করেছিল আফগানিস্তান। পর পর চার মেরে টার্গেট থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থাকাকালে পরের ওভারের প্রথম বলেই ৯ম উইকেট হারায় তারা। তবে এরপর আফগানিস্তানের সামনে সুপার ফোরে যাওয়ার সুযোগ ছিল।
পরে তিন বলে অর্থাৎ, ৭.৪ ওভারের মধ্যে যদি ২৯৫ রান করলেই সুপার ফোরে যেতে পারতো তারা। তবে আফগান ব্যাটাররা হয়তো সেটি ভুলে গিয়েছিল। পরের দুই বল ডট হওয়ার পর তৃতীয় বলে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। ফলে মাত্র ২ রানে জয় পেয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
ওয়েলালাগের করা ৩৭তম ওভারে ৩টি চারে ১২ রান নেন রশিদ। এমন অবস্থায় ম্যাচ জিততে শেষ বলে ৩ রান দরকার পড়ে আফগানদের। ৩৭তম ওভারের প্রথম বলে মুজিবকে শিকার করে শ্রীলঙ্কার সুপার ফোর নিশ্চিত করেন স্পিনার ধনাঞ্জয়া।
একই ওভারের চতুর্থ বলে আফগানিস্তানের শেষ ব্যাটারকে শিকার করে শ্রীলঙ্কার জয়ও নিশ্চিত করেন ধনাঞ্জয়া। ৩৭.৪ ওভারে ২৮৯ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। ফলে রশিদের ১৬ বলে ২৭ রানের অনবদ্য ইনিংসটি বৃথা যায়। শ্রীলঙ্কার রাজিথা ৪ উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রানের সংগ্রহ গড়ে শ্রীলঙ্কা। দলের এ জয়ের ম্যাচে ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ৮৪ বলে ৯২ রান করা কুশাল মেন্ডিস।
এ ম্যাচ দিয়ে চলমান এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হলো। এখন শুরু হবে সুপার ফোরের লড়াই। গ্রুপ ‘এ’ থেকে পাকিস্তান ও ভারত এবং গ্রুপ ‘বি’ থেকে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা সুপার ফোরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
এছাড়া পয়েন্ট টেবিলে দুই গ্রুপেই তৃতীয় স্থানে থাকায় গ্রুপ পর্ব থেকেই এশিয়া কাপ শেষ করলো আফগানিস্তান এবং নেপাল। এবারই প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে খেলার যোগ্য অর্জন করেছিল নেপাল।