বৃষ্টি আইনে জিতে সুপার ফোরে ভারত

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ১২:০০ এএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বৃষ্টি আইনে জিতে সুপার ফোরে ভারত

জিতলেই ‘এ’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার ফোরে পা রাখতো ভারত কিংবা প্রথমবারের তো এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা নেপাল। নবাগত নেপালের জন্য বিষয়টি অসম্ভব হলেও ব্যাট হাতে নিজেদের শক্তি দেখিয়েছে দলটি। তবে বৃষ্টি আইনে নেপালের বিপক্ষে ১০ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে ভারত।

নেপালের বিপক্ষে এ জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে সুপার ফোরে পা রাখলো রোহিত শর্মারা। একই গ্রুপ থেকে সমান ৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত করেছিল পাকিস্তান। সমান পয়েন্ট হলেও রান রেটে বেশ এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে বাবর আজমরা।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ‘এ’ গ্রুপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ওপেনার আসিফ শেখের হাফ-সেঞ্চুরি ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটার সোমপাল কামির দায়িত্বশীল ইনিংসের সুবাদে ৪৮.২ ওভারে ২৩০ রানে অলআউট হয় নেপাল। আসিফ সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন। আট নম্বরে নেমে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন কামি।

নেপালের ব্যাটিং শেষে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের প্রথম ম্যাচের ন্যায় এ ম্যাচটিও আর মাঠে না গড়ানোর শঙ্কা তৈরি হয়। তবে ‍বৃষ্টি শেষে ভারতের সামনে জয়ের জন্য ২৩ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৫ রান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের অপরাজিত জোড়া ফিফটিতে ১৭ বল বাকি থাকতেই ১৪৭ রান তুলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। রোহিত ৭৪ এবং গিল ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে ব্যাট হাতে নামা নেপাল ইনিংসের প্রথম পাঁচ ওভারে তিনটি ক্যাচ ফেলে ভারতীয় ফিল্ডাররা। এ সুযোগে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার আসিফ-কুশল ভুর্টেল। ৫৯ বলে ৬৫ রানের সূচনা গড়েন তারা।

দশম ওভারে ভুর্টেলকে ৩৮ রানে শিকার করে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার শারদুল ঠাকুর। ভুর্টেলের বিদায়ের পর স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিতে পড়ে ১০১ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় নেপাল। এর মধ্যে ৩ উইকেট নেন জাদেজা।

সতীর্থরা ফিরলেও অন্যপ্রান্তে দলের রানের চাকা সচল রাখেন আসিফ। ২৮তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দশম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণকরতে ৮৮ বল খেলেন তিনি। হাফ-সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি আসিফ। ৩০তম ওভারে দলীয় ১৩২ রানে আসিফকে প্যাভিলিয়নে ফেরান পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। ৫৮ রানের ইনিংস খেলার পথে ৯৭ বল মোকাবেলায় ৮টি বাউন্ডারি আসিফ।

১৪৪ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতন হলে দ্রুত গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে নেপাল। তবে সপ্তম উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়ে নেপালের রান ২শর কাছে নিয়ে যান কামি ও দিপেন্দ্র সিং আইরি। ব্যক্তিগত ২৯ রানে আইরিকে শিকার করে ভারতকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন হার্ডিক পান্ডিয়া।

এরপর নেপালের রান ২শ পার করেন কামি। হাফ-সেঞ্চুরির দোড়গোড়ায় গিয়ে ৪৮তম ওভারে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে মোহাম্মদ সামির বলে আউট হন থামেন তিনি। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৬ বলে ৪৮ রান করেন কামি।

শেষ পর্যন্ত ১০ বল বাকি থাকতে ২৩০ রানে অলআউট হলেও সম্মানজনক সংগ্রহ পায় নেপাল। ভারতের জাদেজা ও সিরাজ ৩টি করে উইকেট নেন।

এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো যোগ্যতা অর্জন করা নেপালের এশিয়া কাপ শেষ হলো। অন্যদিকে, গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা।



শেয়ার করুন :