স্পোর্টসমেইল২৪
ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজেদের প্রস্তুতির দিকে দৃষ্টি রেখে শুরু হচ্ছে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। পকিস্তান ও নেপালের মধ্যকা উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়ে বুধবার মাঠে গড়াবে মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপের ১৬তম আসর। যা বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ভালোভাবে পরখ করে নেওয়া দারুণ সুযোগ।
এশিয়া কাপে এবারই প্রথমবারের মতো আয়োজক দু’টি দেশ। টুর্নামেন্টের ৪টি ম্যাচ পাকিস্তানে এবং ৯টি অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কায়। মূলত এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। তবে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাধ্য হয়ে ‘হাইব্রিড মডেলে’ এশিয়া কাপটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
টুর্নামেন্টে সবচেয়ে সফল দল ভারত। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সাতবার শিরোপা জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয় বার শিরোপার স্বাদ নেয় শ্রীলঙ্কা। মাত্র দু’বার ট্রফি ঘরে তুলে পাকিস্তান। বেশ কিছু দিন যাবত ওয়ানডে ফরম্যাটে সেরা দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া বাংলাদেশ তিনবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জিততে পারেনি।
১৯৮৪ সালে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের প্রত্যেক আসরেই অংশ নেওয়া একমাত্র দল শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপে একবার করে অংশ নেয়নি ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ দল। এ বছরের শেষ দিকে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ মাথায় রেখে এবারের এশিয়া কাপ ৫০ ওভারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
২০১৬ সাল থেকে বিশ্বকাপের ফরম্যাট হিসেবে এশিয়া কাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় আয়োজকরা। এ জন্য ২০১৬ এবং ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে এশিয়া কাপ সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিশ্বকাপের জন্য দলগুলোকে সেরা প্রস্তুতির মঞ্চ তৈরি করে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০১৮ সালে সর্বশেষ ওয়ানডে ফরম্যাটে হওয়া এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে লিটন দাসের অসাধারণ সেঞ্চুরি সত্ত্বেও শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে হার এড়াতে পারেনি টাইগাররা।
সর্বশেষ ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত আসরের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। তাই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা এবং ওয়ানডে ফরম্যাটে এশিয়া কাপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত।
এবার এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে নেপাল। নেপাল ছাড়া বাকি পাঁচ দলই ভারত বিশ্বকাপে খেলবে। এ জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে ভুলত্রুটি শুধরে নিতে এবারের টুর্নামেন্টটি সব দলের জন্যই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
শিরোপা জয়ের প্রশ্নে ফেবারিট হিসেবে কাগজে কলমে সবচেয়ে শক্তিশালী দল ভারত। অবশ্য দেরিতে হলেও বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে অন্তত ওয়ানডে ফরম্যাটে যেকোন দলের বিপক্ষে যেকোন কন্ডিশনে জিততে পারে তারা। বিশ্বকাপ নিশ্চিতে বাছাইপর্ব খেলা শ্রীলঙ্কা এবারের টুর্নামেন্টে নিজ মাঠে খেলবে।
২০১৮ সাল থেকে ওয়ানডে ম্যাচের পরিসংখ্যান অনুযায়ী টুর্নামেন্টে অংশগ্রহনকারী ছয় দলের মধ্যে সবচেয়ে সফল হচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশ। বিগত ৫ বছরের পরিসংখ্যানে ভারতের জয়ের হার ৬১.৯০ শতাংশ। এ সময়ে মোট ৮৪টি ম্যাচে অংশ নিয়ে ভারত জয় পেয়েছে ৫২টি ম্যাচে। অপরদিকে, বাংলাদেশের জয়ের হার ৫৯.০৯ শতাংশ। ৬৬টি ম্যাচ খেলে ৩৯টিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা।
৫৭টি ম্যাচে অংশ নিয়ে ৩০ ম্যাচে জয় পাওয়া পাকিস্তানের জয়ের হার ৫২.৬৩ শতাংশ। ৭১ ম্যাচে অংশ নিয়ে শ্রীলঙ্কা জয় পেয়েছে ৩১টি ম্যাচে, জয়ের হার ৪৩.৬৬ শতাংশ। আফগানিস্তানের জয়ের হার ৪০.৯০ শতাংশ। তারা ৪৪টি ম্যাচ খেলে জিতেছে ১৮টিতে।