শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া এ সিরিজকে মূলত এশিয়া কাপের প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছে দু’দল। এ জন্য দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি সিরিজে সাফল্য পেতে বদ্ধপরিকর পাকিস্তান ও আফগানিস্তান।
৩০ আগস্ট থেকে শুরু হবে এশিয়া কাপের ১৬তম আসর। মূল আয়োজক পাকিস্তান হলেও ভারতীয় দল সফরে রাজি না হওয়ায় এশিয়া কাপের বেশিরভাগ ম্যাচ শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে। এশিয়া কাপের প্রস্তুতি হিসেবে শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলার সুযোগ পাচ্ছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান।
দ্বিপাক্ষিক প্রথম তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। এর আগে এক ম্যাচের সিরিজ খেলেছিল তারা। ২০১২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ছিল দু’দলের মধ্যকার প্রথম সাক্ষাৎ। এরপর এশিয়া কাপে দু’বার ও গত বিশ্বকাপে একবার মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। সর্বমোট চারবারের দেখায় সবগুলোাতেই জয় পায় পাকিস্তান।
অতীতের রেকর্ডের চেয়ে এশিয়া কাপকে সামনে রেখে নিজেদের প্রস্তুত করতেই বেশি মনোযোগী পাকিস্তানের। দলের অধিনায়ক বাবর আজম বলেছেন, “আগামী সপ্তাহেই এশিয়া কাপ শুরু। এশিয়া কাপের প্রস্তুতি এই সিরিজ থেকে নিতে হবে আমাদের। আশা করছি তিন বিভাগেই ভালো খেলবে ছেলেরা।”
পাকিস্তানের মতো একই লক্ষ্য আফগানিস্তানেরও। দলের অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি বলেছেন, “এশিয়া কাপের আগে ওয়ানডে সিরিজ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া কাপে ভালো করতে হলে, এ সিরিজেও নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে আমাদের। আশা করছি, এই সিরিজ দিয়েই দলের ভুল-ক্রুটিগুলো শুধরে নিতে পারবো আমরা।”
আফগানিস্তান সিরিজে ২০২১ সালের জুলাইয়ের আবারও পাকিস্তান দলে ফিরেছেন অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। এক বছর পর দলে ফিরেছেন মিডল-অর্ডার ব্যাটার সৌদ শাকিলও। আফগানিস্তানের সিরিজের এ দলই এশিয়া কাপে খেলাবে পাকিস্তান। শুধুমাত্র দল থেকে বাদ যাবেন শাকিল।
সিরিজের বাকি দুই ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ২৪ ও ২৬ আগস্ট। ওয়ানডে সিরিজ শেষে এশিয়া কাপের জন্য পাকিস্তান উড়াল দিবে দু’দল। লাহোরে ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে এবং ৫ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে আফগানিস্তান। মুলতানে ৩০ আগস্ট এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
আফগানিস্তান দল
হাশমতুল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইকরাম আলিখিল, ইব্রাহিম জাদরান, রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান, নূর আহমেদ, মুজিব উর রহমান, ফজল হক ফারুকি, আবদুল রহমান, মোহাম্মদ সেলিম সাফি এবং ওয়াফাদার মোমান্দ।
পাকিস্তান দল
বাবর আজম (অধিনায়ক), ফখর জামান, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাদাব খান, আবদুল্লাহ শফিক, ফাহিম আশরাফ, হারিস রউফ, ইফতেখার আহমেদ, ইমাম-উল-হক, মোহাম্মদ হারিস, মোহাম্মদ ওয়াসিম, নাসিম শাহ, আগা সালমান, শাহিন শাহ আফ্রিদি, তায়েব তাহির, উসামা মির, মোহাম্মদ নওয়াজ ও সৌদ শাকিল।