সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিতে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে সিরিজ জয়ের স্বপ্নও ছিল টাইগ্রেসদের। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্বপ্ন জয়ের পথটা দৈর্ঘ্য হলো। বিপরীতে দ্বিতীয় ম্যাচে ১০৮ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সমতায় ফিরলো ভারত।
বুধবার (১৯ জুলাই) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। যেখানে প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২২৮ রানের সংগ্রহ গড়ে সফররত ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৫.১ ওভারে ১২০ রানে গুটিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস। এ জয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরলো ভারত। প্রথম ম্যাচে ৪০ রানে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
ব্যাট করতে নেমে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে এ ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন জেমাইমা রদ্রিগেজ। সাজঘরে ফেরার আগে ব্যাট হাতে ৮৬ রান করেন তিনি। ৭৮ বলের তার এ ইনিংসে ৯টি চারের মার ছিল।
এছাড়া ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর করেন ৫২ রান। ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌরের ওয়ানডে ফরম্যাটে এটি ১৮তম ফিফটি। জেমাইমা রদ্রিগেজ এবং হারমানপ্রিত কৌর জোগা ফিফটিতেই মূলত বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় ভারত। ফলে ৪ উইকেটকে ১১৯ রান পায় ভারত। এরপর বাকি ২৯ রানের মধ্যে বাকি ৪ উইকেট হারায় ভারত।
মারুফার বোলিং ম্যাজিক, ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সুলতানা খাতুন এবং নাহিদা আক্তার ২টি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া প্রথম ম্যাচে সেরা ক্রিকেটার মারুফা আক্তার ও রাবেয়া খান একটি করে উইকেট নেন।
২২৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৪ রানে চতুর্থ ও পঞ্চম ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। শুরুতেই দুই ওপেনার শারমিন আক্তার (২) এবং মুর্সিদা খাতুন (১২) কে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পর পর উইকেট চলে যাওয়ার অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি না মেনে ফারজানা হক ও লতা মন্ডলকে নামানো হয়।
দলীয় ৩৮ রানের লতা মন্ডলও (৯) ফিরে যান। এরপর রিতু মনিকে সঙ্গে নিয়ে ৬৮ রানের জুটি গড়েন ফারজানা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থাকতে সাজঘরে ফিরেন ফারজানা। ৮১ বলে ৫ চারে ৪৭ রান করেন তিনি।
দলীয় ১০৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর পথ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এরপর ১৪ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ব্যাট হাতে মুর্শিদা-ফারজানা ছাড়া রিতু মনি দুই অংকের (২৭) ঘরে যেতে পেরেছেন। বাকি সবাই ছিলেন সিঙ্গেল ডিজিটে।
এ ম্যাচ শেষে ১-১ সমতা বিরাজ করায় শেষ ম্যাচটি এখন সিরিজ নির্ধারণী হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেষ ম্যাচের জয়ী দলের হাতেই উঠবে ওয়ানডে ট্রফি। ২২ জুলাই (শনিবার) মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের শেষ ওয়ানডে।