সফররত আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। এর মধ্যে বৃষ্টি আইনে আরও কমে গেল আফগানিস্তানের লক্ষ্য। বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেতে ৪৩ ওভারে আফগানিস্তানকে করতে হবে ১৬৪ রান।
তাওহিদ হৃদয়ের একমাত্র ফিফটিতে ৯ উইকেটে ১৬৯ রানের সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে দলে পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেছেন হৃদয়। তবে বৃষ্টি আইনে আফগানিস্তানের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১৬৪ রান।
বুধবার (৫ জুলাই) সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শতভাগ ফিটনেস না থাকলেও খেলতে নামা টাইগার অধিনায়ক ফিরেন ব্যক্তিগত ১৩ রানে। ২১ বলে ২ চারে তামিম এ ইনিংসে দলীয় ৩০ রানে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। তামিম ফিরে যাওয়ার পর অপর ওপেনার লিটন কুমার দাসও বেশি দূর যেতে পারেননি।
ব্যক্তিগত ২৬ রানে লিটন ফিরলে দলীয় ৬৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩৫ বলে ২ চার ও এক ছক্কার নিজের ইনিংস সাজান লিটন। তামিম-লিটন ফেরার পর নাজমুল হোসেন শান্তও হতাশ করেন। চট্টগ্রামের উইকেটে ১৬ বরে ২টি চারের মারে ১২ নিয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। ফলে দলীয় ৭২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শান্ত ফেরার পর তাওহিদ হৃদয়ের সাথে জুটি গড়েন দেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে বাকিদের ন্যায় সাকিবও হতাশ করেন। ৩৮ বল খেলে কোন চার বা ছয়ে মার না থাকা ইনিংসে ব্যক্তিগত ১৫ রানে ফিরেন সাকিব।
এরপর মুশফিকুর রহিম ১, আফিফ ৪ রানে ফিরলে ২৭.২ ওভারে ১২৮ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে অনেকটা টেসে নেন তাওহিদ হৃদয়। বাকি ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মাঝে ব্যাট হাতে রানের চাকা সচল রাখেন তিনি।
এর মাঝে দ্বিতীয় দফা বৃষ্টির নামলে ৪৩ ওভারে নামিয়ে আনা হয় ম্যাচের পরিধি। শেষ দিকে ইনিংসের ৪১তম ওভারে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি স্পর্শ করেন হৃদয়। যদিও এরপর আর রানের চাকা সচল রাখতে পারেননি। ৫১ রানে ফিরে সাজঘরে।
৬৯ বলে তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটিং ইনিংসে ৩টি চার মার ছিল। হৃদয়ের আগে ৭ রান করে সাজঘরে ফিরেন তাসকিন আহমেদ। এরপর শেষ উইকেট জুটিতে ম্যাচ শেষ করেন হাসান মাহমুদ এবং মোস্তাফিজুর রহমান। হাসান ৮ এবং ফিজ ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায়৯ উইকেটে ১৬৯ রান।