ডান-হাতি পেসার কাগিসো রাবাদা ও বাঁ-হাতি লেগ স্পিনার তাবরাইজ শামসির বোলিং নৈপুণ্যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।
টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই পেসার রাবাদা ও লুঙ্গি এনগিডির বোলিং তোপে তছনছ হয়ে যায় শ্রীঙ্কার টপ-অর্ডার। স্কোর বোর্ডে ৩৬ রান উঠতেই পাঁচ ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে জায়গা করে নেন। এর মধ্যে রাবাদা ৩টি ও এনগিডি ১টি উইকেট নেন। একজন হন রান আউট।
ষষ্ঠ উইকেটে দলের প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন কুশল পেরেরা ও থিসারা পেরেরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর পাল্টা আক্রমণ চালান তারা। মারমুখী মেজাজ নিয়ে দ্রুতই রান তুলতে থাকেন দুই পেরেরা। ৫৫ বলে ৯২ রান যোগ করেন তারা। এরমধ্যে ৩০ বলে ৮টি চারে ৪৯ রান করেন থিসারা। ২৫ বলে ৩৬ রান করেন কুশল।
থিসারা হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিতে না পারলেও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১০ম অর্ধশতক তুলে নেন কুশল। হাফ-সেঞ্চুরি তুলে তিন অংকের দিকেই এগোচ্ছিলেন কুশল। কিন্তু থিসারার পর কুশলকে থামিয়ে দিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ২শ’ রানের নীচে আটকে রাখার পথ তৈরি করেন শামসি।
১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭২ বলে ৮১ রানে থেমে যান কুশল। ফলে শেষ পর্যন্ত ৯৩ বল বাকি থাকতেই ১৯৩ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। রাবাদা ৪১ রানে ও শামসি ৩৩ রানে ৪টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৯৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩১ রানে দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে শুরুতে চাপে পড়ে যায় সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাও। তবে তৃতীয় উইকেটে শ্রীলঙ্কার বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিস। জুটিতে ৯৬ বলে ৮৬ রান যোগ করেন তারা। এতে ম্যাচের লাগাম পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
১১৭ থেকে ১২৯ রানের মধ্যে বিদায় নেন ডি কক ও ডু-প্লেসিস। দু’জনই ৪৭ রান করে থামেন। ডি ককের ৫৯ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল। ৫৬ বল মোকাবেলা করে ১০টি চারে নিজের ইনিংসটি সাজান ডু-প্লেসিস।
দ্রুত দুই সেট ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ম্যাচ নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে পরবর্তীতে প্রোটিয়াদের চিন্তা দূর করেন জেপি ডুমিনি। পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলারকে নিয়ে ৪৩ রান যোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের পথ পরিষ্কার রাখেন ডুমিনি। মিলার ১০ রান করে ফিরলেও সাত নম্বরে নামা উইলেম মুল্ডারকে নিয়ে ১১৪ বল বাকী থাকতেই দলের জয় নিশ্চিত করেন ডুমিনি।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৬তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন ডুমিনি। তার ৩২ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো। ৩টি চারে ১১ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন মুল্ডার। ম্যাচ সেরা হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার চায়নাম্যান বোলার শামসি।
একই ভেন্যুতে আগামী ১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
শ্রীলঙ্কা : ১৯৩/১০, ৩৪.৩ ওভার (কুশল পেরেরা ৮১, থিসারা পেরেরা ৪৯; শামসি ৪/৩৩, রাবাদা ৪/৪১)।
দক্ষিণ আফ্রিকা : ১৯৬/৫, ৩১ ওভার (ডুমিনি ৫৩*, ডি কক ৪৭, ডু-প্লেসিস ৪৭; ধনাঞ্জয়া ৩/৫০)।