দীর্ঘ ৯ বছর পর ধরা দিলো সিরিজ জয়ের ট্রাফি। ২০০৯ সালের আগস্টে জিম্বাবুয়েতে সর্বশেষ সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার পঞ্চমবারের মতো দেশের বাইরে সিরিজ জিতলেন মাশরাফিরা।
সিরিজ জয়টা দ্বিতীয় ম্যাচেই হতে পারতো। তবে ভুল আর ব্যর্থতা যেটাই হোক না কেন, জয়ে বন্দরে পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ। ৩ রানে হেরে গিয়ে শেষ ম্যাচে সিরিজ নির্ধারণের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। ক্যারিবিয়দের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে শেষ ম্যাচেও হারের শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে বাংলাদেশের বোলারদের কাছে আর পেরে ওঠেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৮ রানের জয় পেয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে অধিনায়কত্বের ১৪তম সিরিজেও জয়ের স্বাদ পেলেন না জেসন হোল্ডার। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ জিতেছিল ২০১৪ সালে, সেটিও বাংলাদেশের বিপক্ষেই।
৩০২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে চড়াও হতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে মারমুখী ছিলেন ক্রিস গেইল। তিনি করেন ৬৬ বলে ৭৩ রান, তার এ ইনিংসে ৬ বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কার মার ছিল। এছাড়া ৯৪ বলে ৬৪ রান করেন শাই হোপ।
রান তাড়ায় পাওয়েলের ব্যাটে জয়ে আশা দেখছিলেন ক্যারিবিয়ানরা। ৪১ বলে ৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। কিন্তু শেষ দুই ওভারে রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজের যন্ত্রণায় আশা ভঙ্গ হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শেষ পর্যন্ত ২৮৩ রানে থেমে যায় ক্যারিবিয়নদের ইনিংস। বাংলাদেশ জয় পায় ১৮ রানের।
বাংলাদেশের পক্ষে অধিনায়ক মাশরাফি ২টি উইকেট পেয়েছেন। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজ একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি। ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচেই টস ভাগ্য মাশরাফির পক্ষে এসেছে। প্রথম ম্যাচে ব্যাট, দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিং এবং তৃতীয় ম্যাচে আবারও ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন তিনি।
ব্যাট করতে নেমে ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩০১ রান করে বাংলাদেশ। ওপেনার হিসেবে খেলতে নেমে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তিনি। ১২৪ বল মোকাবেলা করে ৭টি চার ও দুইটি ছক্কায় ১০৩ রানে আউট হন বাংলাদেশি এ বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।
এছাড়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৪৯ বলে অপরাজিত ৬৭*, অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ২৫ বলে ৩৬, সাকিব আল হাসান ৪৪ বলে ৩৭, মুশফিকুর রহিম ১৪ বলে ১২, সাব্বির রহমান ৯ বলে ১২, এনামুল হক বিজয় ৩১ বলে ১০ রান ও মোসাদ্দেক হোসেন ৫ বলে অপরাজিত ১১* রান করেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ও অ্যাশলে নার্স ২টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ৩০১/৬ (তামিম ১০৩, মাহমুদউল্লাহ ৬৭*, মাশরাফি ৩৬, মোসাদ্দেক ১১*; কটরেল ১/৫৯, হোল্ডার ২/৫৫, বিশু ১/৪২, নার্স ২/৫৩)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৫০ ওভারে ২৮৩/৬ (গেইল ৭৩, হোপ ৬৪, হেটমায়ার ৩০, রোভম্যান পাওয়েল ৭৪*; মাশরাফি ২/৬৩, মিরাজ ১/৪৫, মোস্তাফিজ ১/৬৩, রুবেল হোসেন ১/৩৪)।
ফল : বাংলাদেশ ১৮ রানে জয়ী
সিরিজ : ৩ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জয়ী
ম্যাচ সেরা : তামিম ইকবাল
সিরিজ সেরা : তামিম ইকবাল।