শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৮ রান। এমন সমীকরণে গত কয়েক বছর যাবতই পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এমন সমীকরণ কোনোভবেই পাড় হতে পারছে না। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও একই সমীকরণের সামনে আবারও হারলো বাংলাদেশ। বারবার এমন সমীকরণে পড়ে ভুল করছে টাইগাররা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এমন সহজ জয় হাতছাড়ায় হতাশার সঙ্গে ক্ষোভ শোনা গেল অধিনায়ক মাশরাপির কণ্ঠে। দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষে মাশরাফি বলেন, ‘এ ধরনের ম্যাচ হারা সত্যিই হতাশার। বারবার একই ভুল করছি আমরা। কিন্তু ভুল থেকে শিখতে পারছি না। সহজেই এ ম্যাচ শেষ করা উচিত ছিল আমাদের।’
শেষ ওভারে সমীকরণের মার-প্যাচে পরে গত কয়েক বছর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। তীরে এসে তরি ডুবানোর কাজটা ভালোভাবে করেছে টাইগাররা। তবে বারবার ভুল করে সেখান থেকে শিখতে পারছে না বাংলাদেশ। এতে যেমন ক্রিকেটপ্রেমিরা হতাশা, অধিনায়ক মাশরাফিও।
তিনি বলেন, ‘শেষ ১৩ বলে ১৪ রান লাগবে। হাতে রয়েছে ৬ উইকেট। এ পরিস্থিতিতে ম্যাচ হারের কথা নয়। আর এমনও নয় যে, এ ঘটনা এই প্রথম হলো। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবারই এমন ঘটলো। তারপরও আমরা পারছি না। এটা সত্যিই হতাশার। বারবার একই পরিস্থিতির সামনে পড়েও আমরা শিখতে পারছি না।’
বারবার একই ভুল করার কারণও বুঝতে পারছেন না মাশরাফি। তাই হতাশাগ্রস্থ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না কেন এমনটি হচ্ছে? টেনিক্যাল নাকি মানসিকভাবে এটি হচ্ছে, এটি বুঝা যাচ্ছে না। যদি ১২ বলে ২০ রান দরকার পড়তো, তবে ব্যাপারটি হতো অন্যরকম। কিন্তু দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৩ বলে ১৪ রান দরকার ছিল। এ অবস্থাতেও আমরা পারিনি। তাই এ পরিস্থিতি বিবেচনায় বলা যায় না, এটি টেকনিক্যালি নাকি মানসিকভাবে ভুল হচ্ছে।’
এ পরিস্থিতিতে ধীরে সুস্থে খেললে ম্যাচ জয় সম্ভব হতো বলে মনে করেন মাশরাফি। বলেন, ‘এই ধরনের পরিস্থিতিতে কোন চাপ না নিয়ে নার্ভ স্বাভাবিক রাখা যেত। ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনা করা যেত। বল প্রতি রান দরকার ছিল। এক-দুই করে নিলেই ম্যাচ বের হয়ে যেত।’
ম্যাচের শেষদিকে মাহমুুদুল্লাহ ও সাব্বিরের আউট বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় বলে মনে করেন মাশরাফি। বলেন, ‘আমার মনে হয়, মাহমুুদুল্লাহ আউটটি আমাদের বড় ঝামেলা ফেলে দেয়। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সাব্বিরের আউট ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।’
ম্যাচ হারের জন্য দুর্বল ফিল্ডিংকেও দায়ী করেন মাশরাফি। বলেন, ‘আমরা ফিল্ডিং ভালো করিনি। ক্যাচ মিস হয়েছে, রান আউট মিস করেছি। ফিল্ডিং মিসের কারণে ২৪টি ডাবলও হয়েছে। যা প্রতিপক্ষকে সহায়তা করেছে।’