২৭২ রানের লক্ষ্য। রান হিসেবে লক্ষ্যটা বেশ দূরের। তবে ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় জয়ের বন্দরে পৌঁছে গিয়েছিল টাইগাররা। শেষ সময়ে গিয়েও আর পারলেন না মাশরাফিরা। শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে ৮ রান প্রয়োজন হলেও ৫ উইকেট হাতে রেখেই ৩ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
ম্যাচ ও সিরিজ জয়ে ২৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান ঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। এর আগে ওপেনার এনামুল হক বিজয় ৯ বলে ২৩ রানে আউট হন। ফিফটি করেন সাকিব ও তামিম। ৯৭ রানের জুটি গড়েন তারা দু’জন। ম্যাচের ২৫তম ওভারে তামিম ফেরেন ৫৪ রানে। সাকিব আউট হন নার্সের বলে ৫৬ রানে।
এরপর মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মিলে আশা জাগান বাংলাদেশের। ৮৭ রানের জুটি গড়েন তারা। মাহমুদুল্লাহ ৩৯ রানে রানআউট হলেও মুশফিক লড়াইটা চালিয়ে যান। শেষ ওভারের প্রথম বলে ৬৭ বলে ৬৮ রান করে মুশফিক আউট হন। তখনই ম্যাচ জয় থেক দূরে চলে যায় বাংলাদেশ। এর আগে ১১ বলে ১২ রান করে আউট হন সাব্বির রহমান।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ৮ রান। কিন্তু মোসাদ্দেক হোসেনকে রীতিমতো উইকেটে বেঁধে রাখেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক হোল্ডার। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ ওভারে ৫ রানের বেশি নিতে পারেননি মোসাদ্দেক-মাশরাফি। বাংলাদেশ হেরে যায় মাত্র ৩ রানে।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হেটমায়ারের সেঞ্চুরিতে ৪৯.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের পক্ষে ৬১ রানে ৩ উইকেট নেন রুবেল হোসেন। সাকিব আর মোস্তাফিজ ২টি করে এবং মাশরাফি ও মিরাজ নেন একটি করে ইউকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৪৯.৩ ওভারে ২৭১ (গেইল ২৯, হোপ ২৫, হেটমায়ার ১২৫, পাওয়েল ৪৪; মাশরাফি ১/৪৪, মিরাজ ১/৪০, মোস্তাফিজ ২/৪৪, সাকিব ২/৪৫, রুবেল ৩/৬১)।
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ২৬৮/৬ (তামিম ৫৪, বিজয় ২৩, সাকিব ৫৪, মুশফিক ৬৮, মাহমুদউল্লাহ ৩৯; জোসেফ ১/৫৫, হোল্ডার ১/৬৬, নার্স ১/৩৪, পল ১/৪৩, বিশু ১/৩৯)।
ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা : শিমরন হেটমায়ার
সিরিজ : ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা।