তিন ব্যাটার করলেন ফিফটি। তবুও বাংলাদেশের ইনিংসটা লম্বা হল না। তিন হাফ সেঞ্চুরির পরও তাই বাংলাদেশর স্কোরটা আড়াইশোও স্পর্শ করলো না, বাকি ব্যাটাররা ব্যর্থ হওয়ায়।
নাজমুল হোসেন শান্ত(৫৩), মুশফিকুর হিম (৭০) ও সাকিব আল হাসানের (৭৫) ব্যাটে বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৪৬ রানে। ৪৮.৫ ওভারে।
ব্যাটারদের জন্য উইকেট ভালোই ছিল। কিন্তু ব্যাটাররা সেই ছন্নছাড়া। পুরো সিরিজ জুড়ে নিজের ছাঁয়া হয়ে আছেন লিটন দাস। টানা দুই ম্যাচে শূন্যতে ফিরলেন।
জহুর আহদে চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার প্রথম ওভারেই তিনি স্যাম কারানের বলে আউট হয়ে ফেরেন।
এরপর আগের ম্যাচে কিছুটা দায়িত্ব নিলেও আবার ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কিছুটা আক্রমণাত্বকভাব দেখিয়ে তিনি ফেরেন ১১ রানে। এবারও বোলার সেই কারান।
তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান। এই জুটি থেকে আসে ৯৮। কিন্তু একি ভুল বোঝাবোঝিতেই রানআউট হয়ে ফিরতে হয় নাজমুল হোসেনকে।
ব্যাটারদের ব্যর্থতার সিরিজে এটি নাজমুলের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। তার ক্যারিয়ারেরও দ্বিতীয় ফিফটি এটাই। ৭১ বলে ৫৩ করে ফেরেন নাজমুল।
বাড়তি দায়িত্ব পড়ে যায় মুশফিকুরের কাঁধে। সাকিবকে নিয়ে আরেকটি বড় জুটির আভাস দিয়ে হঠাৎ ছন্দ হারান মুশফিক।
আদিল রশিদে বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ভাঙে ৩৮ রানের জুটি। তার ৯৩ বলের ইনিংসে ছিল ছয়টি চার। এরপর সাকিবকে আর কেউই সঙ্গ দিতে পারেননি। আফিফ দুই অংকের ঘরে পৌছালেও আউট হয়েছেন ১৫ করে।
বাকিরা কেউ দুই অংক ছুঁতে পারেননি। সাকিবের ৭১ বলের ইনিংসে রয়েছে সাতটি চারের মার।
সফরকারী ইংল্যান্ডের জফরা আর্চার সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট নেন স্যাম কারান ও আদিল রশিদ। একটি করে উইকেট পান ক্রিস ওকস ও রেহান আহমেদ।
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে তাসকিন আহমেদকে বিশ্রামে রেখে ইবাদত হোসনকে একাদশে রাখে বাংলাদেশ। আর সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় শেষ ওয়ানডেতে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে ইংলিশরা।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম