মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটারদের জন্য টিকে থাকাই অধিকাংশ সময় কঠিন হয়ে যায়। বোলাররা বরাবরই দাপট দেখিয়ে যান। সেখানে প্রথম দুটি ওয়ানডেতে দাপট দেখিয়ে গেলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। দাভিদ মালান প্রথম ম্যাচে, দ্বিতীয় ম্যাচে জেসন রয় তুলে নিলেন সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশের ব্যাটাররা ঠিক এই কাজটাই করতে পারছেন না। উইকেটে থিতু হচ্ছেন কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারছেন না। ৩০-৪০ রান করেই আউট হয়ে যাচ্ছেন।
বিশ্বকাপের আগে এটাই দু:শ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানালেন, এই জায়গায় উন্নতি করতে হবে।
প্রথম ওয়ানডেতে লড়াই করলেও শুক্রবার সব বিভাগেই হতাশ করেছে স্বাগতিকরা। প্রথমে ব্যাট করে ৩২৬ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। জবাবে বাংলাদেশ নয় রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে।
এরপর শেষ পর্যন্তযেতে পারে ১৯৪ রান পর্যন্ত। ১৩২ রানে হারের পর অধিনায়ক তামিম জানালেন, লক্ষ্যটা বেশি হয়ে গিয়েছিল।
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তামিম বলেন, ‘‘আসলে বিপক্ষ অধিনায়ক কি করতে চাইছে, সেটা নিয়ে আমি মোটেও ভাবিনি। সে আগে ব্যাট করতে চেয়েছে কিনা সেটা আমার দেখার বিষয় না। আমি ও আমার দল ভেবেছিল পিচ একটু চিকচিকে ছিল। যতই ট্রাকি থাকুক যদি সঠিক জায়গায় বল করতে না পারা যায় তাহলে রান হবেই।"
তিনি বলেন, ‘‘লক্ষ্যটা যদি ২৭০ এর আশেপাশে থাকতো তাহলে ম্যাচটি জয়ের সম্ভাবনা ছিল। এরপর শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে গেলে চাপে পড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।"
আগের সিরিজে ভারতের বিপক্ষেও বাংলাদেশের ব্যাটাররা ধারাবাহিক ভালো করতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজের অবিশ্বাস্য দুটি ইনিংসে জিতেছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেও বলার মতো বড় ইনিংস নেই। বিশ্বকাপের আগে চিন্তার বিষয় কিনা?
তামিম বলেন, ‘‘ব্যাটার জলদি আউট হতে পারে এটা ম্যাচের অংশ। কিন্তু যখন ৩০-৪০ করে ফেলবে ইনিংসের শুরু পাবে তখন সেটা বড় করা উচিত। যেটা ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা করেছে।"
তিনি বলেন, ‘‘তাদের জেসন এই ম্যাচে করেছে ১৩২, আগের ম্যাচে একজন সেঞ্চুরি করেছে এ জিনিসটা আমাদের দুর্বলতা আছে। ইনিংস লম্বা করতে না পারা। ইনিংসস শুরু করতে সেটা বড় করতে হয় যেটা আমরা পারি না।"
দু'দলই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসাবে এই সিরিজটি শুরু করেছিল। সেই প্রস্তুতিতে দারুণ সফল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। বাংলাদেশকে ভাবতে হচ্ছে অনে কিছুই।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম