২১০ রানের লক্ষ্যেও ইংল্যান্ড প্রায় হারের মুখে চলে গিয়েছিল। তবে এক পাশে ধরে রেখে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন ডেভিড মালান। বাংলাদেশের উইকেট সম্পর্কে ইংল্যান্ড খেলোয়াড়দের মধ্যে তারই সবচেয়ে বেশি ধারণা রয়েছে।
তিনি নিয়মিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলেন। এমনকি ওয়ানডে ফরম্যাটে ঢাকা লিগেও খেলেছেন অনেক ম্যাচ। সেটাই কাজে লাগালেন বুধবার প্রথম ওয়ানডেতে।
১১৪* রানের ইনিংসটিকেও তাই ক্যারিয়ারের সেরা সেঞ্চুরি হিসাবে মেনে নিলেন মালান। ১৬ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরি ছিল এটি।একটি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
টি-টোয়েন্টিতে ৫১ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ঘরোয়া ক্রিকেটে আছে ৪০টির বেশি সেঞ্চুরি। তবুও ৩৫ বছর বয়সী মালান মিরপুরের সেঞ্চুরিকেই সেরা মনে করছেন।
এই রানটা করতে তাকে কতটা পরীক্ষা দিতে হয়েছে সেটা মালানের কথাতেই বোঝা যাচ্ছে।
ম্যাচ জয়ের পর বুধবার মালান বলেন, “অবসরের পরও এই সেঞ্চুরির কথা নিশ্চিতভাবেই মনে থাকবে। ম্যাচের যে পরিস্থিতি ছিল, কন্ডিশন যেমন ছিল এবং অনেক সময়ই এরকম হয় যে, কাছাকাছি গিয়ে আউট হয়ে যায় অনেকে, কিন্তু এবার শেষ পর্যন্ত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করা দারুণ তৃপ্তিদায়ক।”
ঢাকা লিগে মালান ২৪টি ম্যাচ খেলেছেন। বিপিএলে খেলেছেন ২৮টি। বাংলাদেশের অনেক মাঠেই তিনি খেলেছেন। আর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই খেলেছেন ২৭টি ম্যাচ।
সংখ্যায় অনেক মনে হলেও বাংলাদেশের ব্যাটাররা তো এখানেই খেলে থাকেন শত শত ম্যাচ। তবে মালান যেটা পেরেছেন সেটা বাংলাদেশের কেউ করে দেখাতে পারেনি।
মালান জানালেন, ভিন্ন কন্ডিশনে যতো বেশি খেলা যায় খেলার মান ততো বেশি উন্নত করা যায়। তিনি বলেন, “ভিন্ন ধরনের কন্ডিশনে খেলার সুযোগ বেশি পেলে খেলার মানও উন্নতি হয়। বিভিন্ন কন্ডিশনে খেলা শিখতে পারাটা দারুণ ব্যাপার। আমার কিছু অভিজ্ঞতা ছিল এখানে খেলার। ব্যাটিংয়ে শুরুর দিকে কাজটা এখানে সহজ নয়। কঠিন সময়ে নিজের প্রক্রিয়ার ওপর ভরসা রেখে পরের দিকে তা কাজে লাগাতে হয়।”
অন্যদিকে নিজেদের কন্ডিশনেও বাংলাদেশের ব্যাটাররা উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেনি। তিন উইকেটে হারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করে টাইগাররা।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম