ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে নাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটি ছাড়া ব্যাট হাতে আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেনি। শুধু তাই নয়, সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারলো না বাংলাদেশ। ২০ বল বাকি থাককেই গুটিয়ে যাওয়ার আগে বাংলোদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২০৯ রান।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে বুধবার (১ মার্চ) টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন তামিম ইকবাল। ব্যাট হাতে তামিমের সাথে ওপেনিং জুটিতে ভালো করতে পারেননি লিটন কুমার দাস। রানের খাতাই খোলেন নিজের ১০ম বলে। পরের ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে নিজেকে বের করে আনা চেষ্টা করলেও ওই ওভারেই এলবিডব্লিও ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন লিটন। ১৫ বলে খেলে করেন ৭ রান।
শুরুতে লিটনকে হারালেও নাজমুল হোসেন শান্তকে সাথে নিয়ে হাতে খুলে খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল। তবে তিনিও খুব ভালো করতে পারেননি। ইনিংসের দশম ওভারের তৃতীয় বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন তামিম। ফলে দলীয় ৩৩ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ৫১তম রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩২ বলে চারটি চারের মারে ২৩ রান করেন তামিম।
দুই ওপেনারকে হারিয়ে উইকেটে শান্তর সাথে জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। তবে দুই ওপেনারের মতো মুশফিকও হতাশ করেন। ইনিংসের ২০তম ওভারে আদিল রশীদের বোলে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ বন্দি হোন মুশি।
সাজঘরে ফেরার আগে ৩৪ বলে ১৭ রান করে মুশফিক। তার এই ইনিংসে একটি মাত্র ছক্কার মার ছিল। মুশফিক চলে যাওয়ার পর উইকেটে এসে আরও হতাশ করেন দেশের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
১২ বল খেলে একটি চারের মারে ব্যক্তিগত ৮ রানে ফিরেন সাকিব। এর ফলে ২৩তম ওভারে দলীয় ১০৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
দ্রুতই চার উইকেট হারানোর পর উইকেট ধরে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন শান্ত এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি হাঁকানোর পর বেশি দূর যেতে পারেননি শান্ত। আদিল রশিদের বলে ব্যক্তিগত ৫৮ রানের ক্যচবন্দি হয়ে ফিরেন তিনি।
৮২ বল খেলা শান্তর এই ইনিংসে ৬টি চারের মার ছিল। শান্ত আউট হওয়ায় রিয়াদের সাথে ৫৩ রানের জুটি ভাঙে। ফলে দলীয় ১৫৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শান্তর চলে যাওয়ার পর রিয়াদও হতাশ করেন। উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান।
ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের ভরসা ছিল আফিফ এবং মিরাজ জুটি। তবে এ জুটি থেকেই বড় স্কোর পায়নি বাংলাদেশ। দলীয় ১৭৫ রানে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেন আফিফ। ১২ বল খেলে ব্যক্তিগত ৯ রানে ঘরে ফিরেন তিনি।
৪৩তম ওভারের তৃতীয় বলে মিরাজ আউট হলে অষ্টম উইকেটের পতন ঘটে। ১৯ বলে ৭ রান করে মিরাজ। এরপর তাসকিন আহমেদ এবং তাইজুল ইসলামের জুটিতে ২’শ রান পার করে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ১৪ রানে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে তাসকিন ফিরলে ২০৮ রানে নবম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পরের ওভারে ১০ রান করা তাইজুল ফিরলে ২০৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। অন্যপ্রান্তে খালি হাতে অপরাজিত ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস