টেস্টে বাজে ব্যাটিং ও সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর টাইগারদের ফিরে আসা প্রয়োজনটা খুব জরুরিই ছিল। তবে ওয়ানডে ম্যাচে নিজেদের ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কারও কমতি ছিল না। কারণ, এরিমধ্যে সাকিব-মোস্তাফিজরা টেস্ট খেলতে চান না -এমন সংবাদে টাইগার ভক্তরা বেশ ক্ষুব্দই ছিলেন। এর কোনো ছোয়া যে সাকিব-মোস্তাফিজদের গায়ে লাগেনি তা নয়। তবে সব শঙ্কা আর হতাশা দূর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যে জয় তুলে নিয়েছেন তাতে অনেকটাই ভাটা পড়ে গেছে।
শুধু জয় তুলে নিয়েছে বললে হবে না, তামিম-সাকিবের দারুণ এ জুটিতে ১১ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গেছেন। তারা দু’জনে ব্যাট হাতে গড়েন ২০৭ রানের জুটি। মূলত তাদের এ জুটিই বাংলাদেশের রানের শক্ত অবস্থান গড়ে দেয়।
এর আগে দ্বিতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল ইমরুল কায়েস ও জুনায়েদ সিদ্দিকীর। ২০০৭ সালে এশিয়া কাপে ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬০ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। ১১ বছর পর সেই জুটি ভেঙে নিজেদের নাম লেখালেন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ও দেশের ক্রিকেটের সেরা বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান।
এদিকে ক্রিকেট দুনিয়ায় দ্বিতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে ক্রিস গেইল ও মারলন স্যামুয়েলসের। উইন্ডিজের এ দুই ব্যাটসম্যান ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ রেকর্ড গড়েন। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে উদ্বোধনী জুটির সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এখন ফখর জামান ও ইমাম উল হকের (৩০৪)। সম্প্রতি বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে ২৫২ বলে ৩০৪ রান করেন তারা।