একটা সময় মনে হয়েছিল নিউজিল্যান্ড শুবমান গিলের করা ২০৮ রানও করতে পারবে না! ১৩১ রানেই তারা ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে। অথচ এমন ম্যাচেই প্রায় জিতে গিয়েছিল কিউইরা। একটু এদিক ওদিক হলেই ম্যাচটি জিতে যেত নিউজিল্যান্ড। সবচেয়ে কম বয়সে ডাবল সেঞ্চুরি করে শুরুতেই রেকর্ড গড়েন শুবমান গিল।
ভারত করতে পারে আট উইকেট ৩৪৯ রান। জবাবে দ্রুত ছয় উইকেট হারানোর পরও মিচেল ব্রেসওয়েলের ৭৮ বলে ১৪০ রানে প্রায় জিতেই গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। চার বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় ৩৩৭ রানে। ১২ রানে হারে সফরকারীরা।
বুধবার হায়দরাবাদে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। পরের দিকে শিশির পড়বে জেনেও নিজেদের পরীক্ষার মুখে ফেলতে চেয়েছিলেন। সেই পরীক্ষায় বাকিরা পাশ করতে না পারলেও শুবমান গড়লেন রেকর্ড।
রোহিতের সঙ্গে শুরুটা ভাল করেছিলেন তিনি। দু’জনে মিলে দ্রুত রান তুলছিলেন। ভালো দেখাচ্ছিল রোহিতকে। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ৩৪ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরলেন অধিনায়ক। রান পাননি বিরাট কোহলি ও ঈষাণ কিশান।
শুবমান নিজের তৃতীয় শতরান পূর্ণ করেন। ১৯টি ইনিংসে তৃতীয় সেঞ্চুরি হল তার। এরপর রেকর্ড গড়ে করেছেন ডাবল সেঞ্চুরিও।১৮২ রান থেকে লকি ফার্গুসনকে পর পর তিন বলে তিনটি ছক্কা মেরে ২০০ রান পূর্ণ করেন তিনি।
শেষ ওভারের প্রথম বলে আবার ছক্কা মারেন। দ্বিতীয় বলে বড় শট মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান শুবমান। ৩৪৯ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস।এদিন ভারতের হয়ে দ্রুততম এক হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন গিল।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি নিউজ়িল্যান্ডের। ব্যর্থ দলের টপ ও মিডল অর্ডার। ফিন অ্যালেন ৪০ রান করলেও প্রথম ছয় ব্যাটারের কেফ রান পেলেন না।
নতুন বলে শামি-সিরাজ ও মাঝের ওভারে কুলদীপের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ১৩১ রানে ছয় উইকেট পড়ে যায় নিউজ়িল্যান্ডের। এরপরই জুটি বাধেন ব্রেসওয়েল (১৪০) ও স্যান্টনার (৫৭)। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চার বল বাকি থাকতেই তারা অলআউট হয়।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম