ক্রিকেটে শেষে গিয়ে তরী ডোবানো একটা অভ্যাস হয়ে বসেছিল বাংলাদেশ দলের। সেই ধারাবাহিকতা কোনো রকমেই যেন কাটছিল না। হৃদয় ভাঙার গল্পগুলো একের পর এক ভারি হতে চলেছিল। তবে সেই ধারার ছেঁদ টেনে পাল্টা আঘাত দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোস্তফিজুর রহমান।
মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোস্তফিজুর রহমান যে ভালো বন্ধু -এটা কে ই বা না জানে? এবার মাঠেও সেই বন্ধুত্বের যেন প্রমাণ দিলেন তারা। প্রায় হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচটিকে কেঁড়ে নিয়ে দুই বন্ধু দেখালেন, বোঝাপড়া আর প্রয়োগের দারুণ মিশেল। ১৮৭ রানের লক্ষ্যে নেমে ২৪ বল হাতে রেখে বাংলাদেশ জিতেছে এক উইকেটে। যেখানে শেষে ইউকেটে মিরাজ-মোস্তাফিজের জুটি থেকে আসে অবিচ্ছিন্ন ৫১ রানে।
ম্যাচ শেষে মিরাজ জানালেন, এমন একটা ম্যাচ জেতা আমাদের জন্য দরকার ছিল। তিনি বলেন, “আমরা বার বার হারছিলাম। একদম শেষে গিয়ে আমরা অনেক ম্যাচ হেরেছি। আজ (রোববার) জিতে ভালো লাগছে।”
২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের নায়ক ছিলেন মোস্তাফিজই। সাত বছর পর সেই মোস্তাফিজের ছোঁয়া থাকলো জয়ে। জাতীয় দলে দুই বন্ধুর পথচলায় অনেক গল্পই রয়েছে। কিন্তু মিরপুরে যে গল্প তৈরি হলো সেটা বাংলাদেশের হৃদয়ে লেখা থাকবে নিশ্চয়ই।
মিরাজ আরও বলেন, “মোস্তাফিজ আমার খুব ভালো বন্ধু এবং সে খুব ভালো সমর্থন দিয়েছে। একটা জিনিস আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে যে, মোস্তাফিজ খুব আত্মবিশ্বাসী ছিল। সে আমাকে একটা কথা বার বার বলছিল আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। আমি ঠেকিয়ে দিচ্ছি বল, মানে আউট হবো না।”
“যদি গায়ের উপর বল লাগে সমস্যা নেই। ওর এমন বিশ্বাস দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে এবং আমার আত্মবিশ্বাসটা বেড়েছে ওর আত্মবিশ্বাস দেখে।”- যোগ করেন মিরাজ।
দুই বন্ধুর বিশ্বাসেই বাংলাদেশও ভারত গেড়া খুলতে পেরেছে। মোস্তাফিজের সাহস পেয়েই পরিকল্পনা সাজিয়েছেন মিরাজ। কোন বোলার মারবেন আর কোন বোলারকে মারবেন না। জোনে পড়লেই সেটা পাঠিয়ে দিয়েছেন বাউন্ডারিতে। মাঠের বাইরের বন্ধুত্বর মতো লড়াইয়ের ভেতরও এমন মিশেল বার বার দেখার অপেক্ষায় থাকবে বাংলাদেশও।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস