১৯ ম্যাচের ছোট ওয়ানডে ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকবারই দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছেন আফিফ হোসাইন। দলের বিপর্যয়ের দিনেই যেন আফিফের ব্যাটটা একটু বেশিই চওড়া হয়ে ওঠে। অধিনায়ক তামিম ম্যাচ শেষে বলছেন আফিফের মধ্যে এমন গুণ আছে যা অন্য কারো মধ্যে নেই।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়ানোর পর হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে ১৭৩ রানেই পাঁচ উইকেট ফেলেছিল বাংলাদেশ। কচ্ছপগতির এক ইনিংস খেলে ১৭৩ রানে মাহমুদউল্লাহ ফিরে গেলে বেশ ভালোই বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ।
মেহেদী হাসান মিরাজ ছাড়া কেউই ছিল না পরে। মিরাজও ফিরে যান কিছুক্ষণ পরেই। এরপর টেলএন্ডারদের দিয়ে দারুণ দক্ষতায় দলের রান আড়াইশো পার করেন আফিফ। দুর্দান্ত ইনিংসে তার নামের পাশে যোগ হয়ে অপরাজিত ৮১ বলে ৮৫ রান।
ম্যাচ শেষে তাই অধিনায়ক তামিম আফিফের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তবে এখনই কোনো নাম না দিয়ে বরং তাকে তার থাকতে দিতে বললেন তিনি। এমনকি আফিফের মধ্যে যে গুণ আছে সেটা অন্য কারো মধ্যে নেই বলে মত তামিমের।
আফিফের ব্যাটিং প্রশংসায় পঞ্চমুখ তামিম
তামিম বলেন, “তাকে (আফিফ) এখনোই কোনো নাম দেবেন না। সেটা একটু দ্রুতই হয়ে যায়। তার মধ্যে এমন অনন্য গুণ আছে, যা খুব বেশি মানুষের মধ্যে নেই। আজকের ম্যাচ কিংবা দ্বিতীয় ম্যাচটাই যদি দেখেন, আমরা চাপে ছিলাম। কিন্তু সে (ব্যাটিংয়ে) এসেই ম্যাচটা প্রতিপক্ষের মুঠো থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে।”
সাধারণত ছয় বা এমনকি সাতেও ব্যাটিং করতে হয় আফিফকে। এই সময়ে ব্যাটারদের দ্রুত রান তোলার দিকেই বেশি মনোযোগ দিতে হয়। তাতে অনেক সময়েই দ্রুত আউট হওয়ার ঝুকি থাকে। আফিফও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পছন্দ করেন এবং অধিনায়ক তামিমও চাইছেন সে এটা ধরে রাখুক।
“একটা বিষয় কি, এ ধরনের খেলোয়াড় অনেক সময় একই কাজ (খেলার ধরন) করতে গিয়ে আউট হয়ে যাবে। তখন আমরা কিংবা আপনারা হয়তো বলাবলি করব, এটা কী করল! আমি চাই না সে তার এই গুণটা হারাক, সে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে চায় এবং এটা দারুণ একটা গুণ। আমি জানি সে খুব ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়বে, তবে এখনই তাকে কোনো নাম দেওয়াটা একটু তাড়াহুড়া হয়ে যায়।”
বুধবার (১০ আগস্ট) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ১০৫ রানের জয়ের হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে বাংলাদেশ। অভিষেক ম্যাচেই জোড়া উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের কাজটাকে সহজ করে দিয়েছেন এবাদত হোসাইন। এছাড়া মোস্তাফিজ চারটি, তাইজুল ২টি, হাসান ও মিরাজ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি