তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হেরে নয় বছর পর জিম্বাবুয়ের কাছে ম্যাচ হারের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। একই সময় ব্যবধানে স্বাগতিকদের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হারের স্বাদও পেল তামিম ইকবাল বাহিনী। তিন ম্যাচ সিরিজে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হেরে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হার নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে মাঠে নামতে হবে তামিম ইকবাল বাহিনীকে।
রোববার (৭ আগস্ট) হারারেতে ২৯০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সিকান্দার রাজার পঞ্চম ও রেগিস চাকাভার প্রথম সেঞ্চুরিতে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকরা অবশ্য শুরুতে এতোটা ছন্দে ছিল না। স্কোরবোর্ডে ৪৯ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৪ উইকেট।
এরপরেই স্বাগতিকদের হয়ে দলের হাল ধরেন রাজা ও চাকাভা। দু’জনের ২০১ রানের জুটিতে জয়ের পথে এগিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে এটাই জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। চাকাভা ও রাজা জুটি পিছনে ফেলেছেন গ্রান্ট ফ্লাওয়ার ও মুরে গুডউইনের ১৮৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।
রোববার দলীয় ২৫০ রানে রেগিস চাকাভা (৭৫ বলে ১০২) ফিরলেও জিম্বাবুয়ের জয়ে কোনো বাঁধা হতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। এটা ছিল চাকাভার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। উল্টো শেষদিকে টনি মুনোওঙ্গার ব্যাটেও উঠে রানের ঝড়।
এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয় নিজের অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামেননি টনি মুনোওঙ্গা। তার ব্যাটে আসে ১৬ বলে ৩০ রান। সিকান্দার রাজা অপরাজিত থাকেন ১১৭ রানে। এই নিয়ে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকলেন রাজা।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ দুইটি করে উইকেট শিকার করেন। এক ম্যাচ বিরতি দিয়ে একাদশে ফেরা তাইজুল ইসলামের শিকার এক উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয় উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৭১ রান। পরে অবশ্য নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ইনিংসে শেষ দিকে ধীরগতির একটি হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
শম্বুক গতির ওই হাফ সেঞ্চুরির পর ব্যাট হাতে কিছুটা ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন রিয়াদ। তবে তার সেই চেষ্টা সফল না হওয়ায় বাংলাদেশের রান ৩০০ রানের কোটা পার করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত থামে ২৯০ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮০ রান আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে। এছাড়াও ৫০ রান করেন তামিম ইকবাল। জিম্বাবুয়ের হয়ে তিন উইকেট শিকার করেন সিকান্দার রাজা। বল হাতে তিন উইকেটের পাশাপাশি ব্যাটে সেঞ্চুরি করায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন রাজা।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর