টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মূলত সিকান্দর রাজার ব্যাটিংয়েই পরাস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ঠিক একই ঘটনা ঘটলো। তিন শতাধিক রানের সংগ্রহ গড়েও জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটারের জোড়া শতকের কাছে হার মানলো তামিম ইকবালের বাংলাদেশ দল। একই সাথে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯ বছর পর ওয়ানডে ম্যাচে জয় তুলে নিলো জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ ২০১৩ সালে ওয়ানডে ম্যাচ জিতেছিল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। দীর্ঘ এ সময়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ফরম্যাটে ১৯ বার মুখোমুখি হলেও কোন জয় পায়নি জিম্বাবুয়ে। তবে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর এবার ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও জয় তুলে নিলো তারা।
২০১৩ সালে সর্বশেষ জয় পাওয়া ম্যাচে খেলা সিকান্দর রাজার কাছেই এবার পরাস্ত হলো বাংলাদেশ। ১০৯ বল মোকাবেলা করে ৮টি চার ও ৬টি ছক্কায় অপরাজিত ১৩৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দলের জয় নিশ্চিত করেই রাজার বেসেই ব্যাটসহ দুই হাত উপরে উঁচিয়ে উল্লাস করেন সিকান্দর রাজা।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) হারারেতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং নেমে চার ব্যাটারের অর্ধশতকে ৩০৩ রানের সংগ্রহ গড়েছিল বাংলাদেশ। দলের পক্ষে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৮১ রান করে আঘাতজনিত কারণে অবসরে গিয়েছিলেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন এনামুল হক বিজয়।
৩০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৩৫ রান করেন সিকান্দর রাজা। এর আগে ১১০ রান করে সাজঘরে ফিরেন ইনোসেন্ট কাইয়া। রাজার অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ১০ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার তামিম ইকবাল ৬২ রান করে আউট হলেও লিটন কুমার দাস ৮১ করে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর তিন বছর পর ওয়ানডে একাদশে ফেরা এনামুল হক বিজয় ৭৩ রান করেন। আর শেষ দিকে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। এছাড়া ১২ বল খেলে ২০ রানে অপারজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
উপরের সারির চার ব্যাটারের অর্ধশত রানের ইনিংসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩০৩ রানে সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। তবে সিকান্দর রাজার ব্যাটিংয়ে পেরে উঠতে পারেনি বাংলােদেশ। ১৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছে সিকান্দর রাজা।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস