২০০৮ সালে প্রথম ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংলিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর দুই দফায় খেলেছে আরও দুইটি সিরিজ। কিন্তু সিরিজ জয় অধরাই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য।
অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হয়েছে! সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৯০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের মাটিতে এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়।
তিন ম্যাচের সিরিজে হার দিয়ে শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে দাপট দেখিয়ে জয় ছিনিয়ে আনে সফরকারীরা। এতে করে প্রথমবার ইংল্যান্ডের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের হাতছানি ছিল আফ্রিকার সামনে।
সোমবার (১ আগস্ট) ইংল্যান্ডের রোজ বলে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুটা যথাসম্ভব বাজে হয়েছিল তাদের, ইনিংসের তৃতীয় বলেই স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই ফিরে যান ওপেনার কুইন্টন ডি কক।
শেষ টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক মোসাদ্দেক, ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ
শুরুর ধাক্কা সামলে রানের গটি বাড়ান রেজা হেনরিকস ও রাইলি রুশো। দ্বিতীয় ম্যাচে আফ্রিকার জয়ে নায়ক রুশো এদিনও ঝড়ো শুরু করেছিলেন। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি
৬.২ ওভারে দলীয় ৫৫ রানে ব্যক্তিগত ১৮ বলে ৩১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই আফ্রিকান বাঁহাতি ব্যাটার। প্রথম দশ ওভারে বেরসিক বৃষ্টি বাধায় দুই দফায় খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন আম্পায়ার।
তবে এতে কোনো সমস্যা হয়নি আফ্রিকান ব্যাটারদের। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬১ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়েন রেজা হেনড্রিকস ও আইডেন মারক্রাম।
ব্যাট হাতে বেশি ভয়ঙ্কর ছিলেন রেজা। ৫০ বলে ৭০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। যেখানে কোনো ছয় না থাকলেও ছিল ৯টি চার।
রেজাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া মারক্রামের সংগ্রহ ৩৬ বলে ৫১ রান। মারক্রামও এদিন কোনো ছয় মারেননি, মেরেছেন চারটি চার।
শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে নিজের ১০০তম ম্যাচ খেলতে নামা অধিনায়ক ডেভিড মিলারের ৯ বলে ২২ রানের ক্যামিওতে ১৯০ রানের বড় সংগ্রহ পায় সফরকারীরা।
রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায় ইংল্যান্ড। কিন্তু জেসন রয় ও ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের ২৮ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙার পরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইংল্যান্ডের বোলিং লাইন আপ।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ইংলিশদের মিডল অর্ডারের কেউ উইকেটে দাড়াতে পারেননি। ইনিংসের ইংলিশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ জনি বেয়ারস্টোর ২৭!
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ইংল্যান্ড কখনোই এই ম্যাচ জয়ের পথে ছিল না। শেষ ব্যাটার হিসেবে জনি বেয়ারস্টো আউট হলে ১০১ রানে শেষ ইংল্যান্ডের ইনিংস, ৯০ রানের ব্যবধানে হেরে নিশ্চিত হয় সিরিজ হার।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি