ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। মঙ্গলবার্বার(১৯ জুলাই) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে খেলবেন তিনি।
মাত্র ৩১ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ওয়ানডেকে বিদায় বলে দিলেন স্টোকস। ২০১৯ সালে স্টোকসের অবিশ্বাস্য ইনিংসেই ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে ইংলিশরা।
নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে স্টোকসের অবসরের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড।
বিদায় বার্তায় স্টোকস বলেন, “মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) আমি ইংল্যান্ডের হয়ে ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে খেলবো। আমি এই ফরম্যাট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। ইংল্যান্ডের হয়ে আমার সতীর্থদের সাথে খেলা (ওয়ানডে) প্রতিটি মিনিট উপভোগ করেছি।”
সাকিবের পাশে বসলেন হার্দিক
নিজের একশভাগ দিতে পারছিলেন না বলেই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান স্টোকস। “ এই সিদ্ধান্তটা নেওয়া যতটা কঠিন ছিল, আমি এই ফরম্যাটে আমার সতীর্থদের আমার একশোভাগ দিতে পারবো না, এই সত্যটি মোকাবেলা করা ততটা কঠিন নয়" যোগ করেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার।
একসসঙ্গে তিন ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়াতা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছিল স্টোকসের জন্য। এমনকি তার মনে হচ্ছিল তার জায়গায় অন্য কাউকে নিলে সে দলের জন্য আরও ভালো খেলততে পারবে।
স্টোকস বলেন, “তিন ফরম্যাট আমার জন্য এখন খেলাটা কষ্টসাধ্য। আমার শরীর সায় দিচ্ছে না শুধু এটা নয়, আমি অন্য একজন খেলোয়াড়ের জায়গা ধরে রেখেছি যে দলকে নিজের সেরাটা দিতে পারবে।”
ওয়ানডে ছেড়ে পুরো মনযোগ দিতে চান টেস্ট ক্রিকেটে, যে ফরম্যাটে ইংল্যান্ডের অধিনায়কও তিনি। এছাড়া টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের কথাও উল্লেখ করেছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার।
“আমার যা কিছু আছে এখন আমি টেস্ট ক্রিকেটে দিতে পারবো। এই সিদ্ধান্তের পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটও আমি আমার সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে পারবো” যোগ করেন স্টোকস।
ঘরের মাঠ ডারহামেই শেষ হচ্ছে স্টোকসের ওয়ানডে ক্যারিয়ার। স্টোকস বলেন, “আমার খেলা (ইংল্যান্ডে হয়ে) ১০৪ ম্যাচের প্রত্যেকটি উপভোগ করেছি। আরও একটি ম্যাচ এবং ঘরের মাঠ ডারহামে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ।”
ইংলিশ ক্রিকেট বেন স্টোকসে মনে রাখবে আজীবন। ক্রিকেটে জন্মদাতা হয়েও আজীবন বিশ্বকাপ না জেতার অভিশাপ বয়ে বেড়ানো হাত ইংলিশদের এই স্টোকসই মুক্তি দিয়েছে।
২০১৯ সালে প্রায় একা হাতে অপরাজিত ৮৪ রানে বিশ্বকাপ ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিউক্ষে প্রথমে ড্র করে ইংল্যান্ড। পরে সুপার ওভারেও ড্র হলে বাউন্ডারির হিসেবে আজন্মের চাওয়া বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি জিতেছিল ইংল্যান্ড।
ইংলিশদের জার্সিতে ২০১১ সালে ২৫ জুলাই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় স্টোকসের। ইংল্যান্ডের ১০৪ ম্যাচে তিন সেঞ্চুরি ও ২১ হাফ সেঞ্চুরিতে ২৯১৯ রান করেছেন ইংলিশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। বল হাতে ৭৪টি উইকেটও রয়েছে স্টোকসের নামের পাশে।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি