দেশের মাটিতে স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলতেই বেশি অভ্যস্ত বাংলাদেশ। তবে বিদেশের মাটিতে গেলেই পেসারদের সামনে বড় পরীক্ষা দিতে টাইগার ব্যাটারদের।
কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবারের ওয়ানডে সিরিজটা হলো ব্যতিক্রম। ওয়ানডে সিরিজের ভেন্যু গায়ানার উইকেট সবসময়ই স্পিনারদের পক্ষে একটু বেশিই কথা বলে কিন্তু এবার যেন একটু বেশিই কথা বলেছে!
এমনিতেই ওয়ানডে ফরম্যাটে বেশ কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে এই ফরম্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেলে তো আরও বেশি হিংস্র হয়ে ওঠে টাইগাররা।
শেষ ১০ ম্যাচের সবকটাতেই জয়, টানা চার সিরিজের শিরোপা জেতা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ছড়ি ঘোরানোর প্রমানই দেয়। তবে এভাবে তিন ম্যাচেই উড়িয়ে হোয়াইটওয়াশ করেও খুব একটা রোমাঞ্চিত নন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। স্পিনারদের সাহায্যে সিরিজ জেতাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাইছেন না তিনি।
সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন তাইজুল
বলেন, "আমি এ জয়গুলোকে খুব উঁচুতে রাখতে চাই না। এটা নিয়ে খুব বেশি রোমাঞ্চিত না। কারণ স্পিনারদের জন্য খুব বেশি সহায়তা ছিল। এ কারণে দুনিয়া জিতে ফেলেছি, (ব্যাপারটা অমন) না। ভালো উইকেটে খেললে আমাদের আরও ভালো খেলতে হবে।"
তিন ম্যাচের মধ্যে শেষ ম্যাচেই যা একটু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। এই সিরিজের স্বাগতিকদের সর্বোচ্চ ১৭৮ রানের সংগ্রহ ছিল এই ম্যাচেই। তামিমের দল খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে জিততে পারেনি। ম্যাচ শেষে উন্নতির অনেক জায়গা আছে বলে মনে করিয়ে দেন তিনি।
“উন্নতির শেষ নেই। উইকেট কঠিন ছিল, খেলার অযোগ্য ছিল না। ৭ বা ৮ উইকেটে যদি জিততাম, তাহলে উন্নতি হয়েছে বলতাম। কারণ একটা সময় নিশ্চিত ছিল না ম্যাচ কোনদিকে যাচ্ছে। এসব ছোটখাট বিষয়ে উন্নতি করতে হবে। আরও ভালো দল, ভালো উইকেটে খেললে কী হবে বলা তো যায় না। বোলিং ব্যাটিং,সবখানেই উন্নতি লাগবে” যোগ করেন তামিম।
অনেক সময় দল টানা জিততে থাকলে দুর্বলতাগুলো আড়াল হয়ে যায়। কিন্তু তামিম এ বিষয়ে সচেতন থাকতে চান। মনে করিয়ে দেন, জিতলেই সব সমস্যার সমাধান হয় না।
বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা: তামিম চাইলেও ম্যানেজমেন্ট চায়নি
টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, “জিতছি বলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়নি। ধীরে ধীরে সমাধান করছি। জিততে শুরু করলে মানুষ দূর্বলতা লুকিয়ে ফেলে। আমি সেভাবে ভাবি না। চেষ্টা করছি, আশা করি সামনে ভালো হবে।”
অধিনায়ক তামিমের মনোযোগের সবটা জুড়ে ২০২৩ বিশ্বকাপ। দ্বিতীয় ম্যাচ শেষেই বলে রেখেছেন ভারতেই তিনি সহ সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিমদের শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে।
তবে এখনই অত দূরে না তাকিয়ে আস্তে আস্তে আগাতে চান তিনি। “২০২৩ বিশ্বকাপই লক্ষ্য। সে প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছি। কিন্তু আমি খুব বেশিদূর তাকাতে চাই না। কারণ কী হয় না হয়, কখনোই জানি না। কে চোটে থাকে, কে থাকে না থাকে। (তবে) আমরা ধারণা পাচ্ছি” যোগ করেন তামিম।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি