বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাফল্যের মূলে ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ভক্তরা ভালোবেসে পাঁচজনকে একসাথে ডাকেন ‘পঞ্চপান্ডব’ নামে।
আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর না নিলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মাশরাফির ফেরার সম্ভবনা নেই বললেই চলে। তাহলে দলে থাকলো বাকি চার জন। ২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে অনুষ্টিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ওই বিশ্বকাপই হতে পারে এই চারজনের বাংলাদেশের জার্সিতে শেষ বিশ্বকাপ। সে কারণেই ২০২৩ বিশ্বকাপ সিনিয়র চারজনের জন্য বিশেষ কিছু হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন তামিম।
সাকিব, মুশফিক ও অধিনায়ক তামিমকে নিয়ে সমর্থকরা সন্তষ্ট থাকলেও, চরম অসন্তষ্ট মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে। এমনকি অনেকেই তাকে এখনই দলের বাইরে পাঠাতে চান। তবে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের পরিকল্পনায় বেশ ভালোভাবেই আছেন তিনি।
বুধবার (১৩ জুলাই) ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টানা দ্বিতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বেশ দক্ষ হাতেই সামলাচ্ছেন দলকে। অধিনায়কত্ব দিয়ে প্রশংসাও পাচ্ছেন তামিম।
লিটনের পরিকল্পনাতেই ওপেনিংয়ে শান্ত!
ম্যাচ শেষে তামিম কথা বলেন ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে। অস্বাভাবিক কিছু না হলে বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করবেন তামিম। তাদের চারজনের (তামিম, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ) জন্য ২০২৩ বিশ্বকাপ বিশেষ কিছু হতে চলেছে বলে মনে করেন তামিম।
বলেন, “২০২৩ বিশ্বকাপ সম্ভবত আমাদের জন্য বিশেষ কিছু হতে চলেছে। বিশেষ করে আমাদের চারজনের জন্য (তামিম, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ), যাদের ওটাই শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে। আমাদের সবচেয়ে সেরা দলটা নিয়েই যেতে হবে (২০২৩ বিশ্বকাপে।”
২০২৩ বিশ্বকাপ এই চারজনের শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে এটা সবাই কমবেশি জানেন। তবে তামিম বোধহয় এই একটা লাইন দিয়ে বিশ্বকাপ দলে রিয়াদের থাকা না থাকা নিয়ে যে সংশয় তৈরি হয়েছিল সেটার বিষয়ে পরিষ্কার ধারনা দিয়ে দিলেন।
জানিয়ে দিলেন অফ ফর্মে থাকা দলের অন্যতম সিনিয়র সদস্য রিয়াদ অধিনায়ক তামিমের সমর্থন পাচ্ছেন। অধিনায়ক হিসেবে সতীর্থদের খারাপ সময়ে পাশে থাকবেন সবসময় এটাও যেন বুঝিয়ে দিলেন তিনি।
পঞ্চপান্ডব খ্যাত এই পাঁচজন একসাথে দুইটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০০৭ ও ২০১৫ সালে পাঁচজনই ছিলেন টাইগারদের একাদশে। মাঝে ২০১১ সালের ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ম্যাচ খেলার মতো ফিট না হওয়াতে ছিলেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা। আর ২০২৩ সালেও মাশরাফি থাকছেন না এটা মোটামুটি নিশ্চিত।
ফলে চার পান্ডবের একসাথে ভারতে খেলবেন চতুর্থ বিশ্বকাপ। এমনকি বিশ্বকাপ শেষে চারজনের মধ্যে একাধিক ক্রিকেটার বিদায় জানাতে পারেন ক্রিকেটকে। তামিম ইকবাল নিজেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন, তাকে ২০২৩ বিশ্বকাপের পর আর নাও দেখা যেতে পারে বাংলাদেশের জার্সিতে।
‘আরও ২-৩ জন অলরাউন্ডার থাকলে এই প্রশ্নগুলো হতো না’
বাংলাদেশের ক্রিকেটের সোনালী প্রজন্মের কান্ডারি এই চারজন নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপের ওই সোনালী ট্রফিটা জিতেই ক্যারিয়ার শেষ করতে চাইবেন। সমর্থকরাও নিশ্চিতাভাবেই তাকিয়ে থাকবেন তাদের দিকেই!
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি