সাম্প্রতিক সময়ে বল হাতে বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা পারফর্মার পেসার তাসকিন আহমেদ। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও তাসকিনের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ।
এরকম একটা বোলারকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়া খুব একটা সহজ সিদ্ধান্ত নয়, অধিনায়ককে সাহসী হতে হয়। তবে এক্ষেত্রে গায়ানার উইকেট অবশ্য তামিমকে সাহসী হতে সাহায্য করেছে।
গায়ানার উইকেট বরাবরই স্পিনারদের বিপক্ষেই বেশি কথা বলে। তবুও প্রথম ম্যাচে তিন পেসার নিয়েই খেলেছিল বাংলাদেশ। এই ধরণের উইকেটে মোস্তাফিজের মতো পেসার রীতিমতো অটোচয়েজ। সঙ্গে ছিলেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচের উইকেট দেখার পর তামিমের মনে হলো এই উইকেটে গতি নয় ঘুর্ণিই বেশি প্রয়োজন। শেষ মুহুর্তে তাসকিনের জায়গায় একাদশে নেওয়া হলো স্পিন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে।
লিটনের পরিকল্পনাতেই ওপেনিংয়ে শান্ত!
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক তামিম বললেন, তাসকিনের বাদ পড়াটা আসলেই দূর্ভাগ্যজক। তবে স্পিনিং উইকেট বিবেচনাতেই দল এই কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
তামিম বলেন, “তাসকিনের বাদ পড়াটা খুবই দূর্ভাগ্যজনক। ও খুবই ভালো বোলিং করছে। কিন্তু কাল (পরশু) যখন উইকেট দেখতে এলাম, আমাদের মনে হয়েছে দলে হয়তো একজন বাড়তি স্পিনার দরকার। সঙ্গে একটা বাড়তি ব্যাটসম্যান থাকলেও ভালো হয়। এই উইকেটে পর পর দুটি উইকেট হারানো যাবে না। বল খুব বেশি স্পিন করছিল। এ জন্যই পরিবর্তন। পুরোটাই কৌশলগত।”
এই ম্যাচ দিয়েই প্রায় এক বছর ওয়ানডেতে ফিরলেন মোসাদ্দেক। এমনকি ৪১ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে কালই দ্বিতীয়বারের মতো বোলিংয়ে দশ ওভারের কোটা পূরণ করলেন তিনি।
লিটনের জায়গায় শান্তকে ওপেনিং করানো ও তাসকিনের জায়গায় মোসাদ্দেককে খেলানো, দুইটাই কাজে দিয়েছে বাংলাদেশকে।
মোসাদ্দেকের হাত ধরেই কাল ম্যাচে প্রথম ব্রেক থ্রু পেয়েছে টাইগাররা। দলীয় ২৭ রানে স্বাগতিক ওপেনার কায়াল মায়ার্সকে সরাসরি বোল্ড করেন মোসাদ্দেক। বাংলাদেশের হয়ে ইনিংসের প্রথম ওভার বোলিং করা মোসাদ্দেক ১০ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৩৭ রান।
মেডেন ওভারের সংখ্যায় সাকিব-মাশরাফির পাশে নাসুম
মোসাদ্দেককে নেওয়ার সময় একজন ব্যাটার বেশি নেওয়ার কথা বলেছিলেন তামিম। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মোসাদ্দেকের ব্যাটিংটা প্রয়োজন হয়নি বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১০৮ রানের লক্ষ্যে এক উইকেট হারিয়েই টপকে গিয়েছে টাইগাররা।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি