টানা চতুর্থবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক উইন্ডিজকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তামিম ইকবাল বাহিনী। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচের পুরোটা সময় ছিল বাংলাদেশের দাপট। উইন্ডিজ ব্যাটারদের কম রানে বেঁধে দিয়ে জয়ের কাজটা সহজ করে দিয়েছিল টাইগার বোলাররা।
বুধবার (১৩ জুলাই) গায়ানার প্রভিডেন্স পার্কে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অধিনায়কের সেই সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় নেয়নি টাইগার বোলাররা। তাতেই মাত্র ১০৮ রানে গুটিয়ে যায় উইন্ডিজের ইনিংস।
দলীয় ২৭ রানে এক বছর পর ওয়ানডে স্কোয়াডে ফেরা মোসাদ্দেক হোসেনের বলে আউট হন কাইল মায়ার্স। এরপরেই যেন আরও চুপসে যায় উইন্ডিজের ব্যাটিং লাইন আপ। বাংলাদেশের বোলারদের একের পর ঘূর্ণি জাদুতে চোখে সর্ষেফুল দেখতে শুরু করেছিল নিকোলাস পুরান বাহিনী।
প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও নিজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের জাদু দেখানো শুরু করেন নাসুম আহমেদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রথম ম্যাচে রিভিউ বাঁধায় উইকেট না পাওয়া নাসুম দ্বিতীয় ম্যাচেও সেই গেরোতে আটকে পড়েছিলেন।
তবে শেষ শামারহ ব্রুকসকে আউট করে গেরো খোলেন তিনি। পরের দুই উইকেট শিকার করতে নাসুমকে আর নিতে হয়নি রিভিউয়ের সাহায্য।
নাসুমের তিন উইকেটের সাথে মিরাজের চার উইকেটে উইন্ডিজ থামে ১০৮ রানে। মিরাজ ২৯ রানের শিকার করেন ৪ উইকেট। এছাড়াও একটি করে উইকেট পকেটে পোড়েন মোসাদ্দেক হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।
১০৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনিং জুটিতে বদল আনে বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের সঙ্গী হিসেবে লিটন দাস নয় নেমেছিলেন নাজমুল হাসান শান্ত। এই দু’জনের সাবধানী ব্যাটিংয়ে এক সময় মনে হচ্ছিলো কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ।
ম্যাচের ১৩তম ওভারের প্রথম বলে গুদাকেশ মতিকে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন শান্ত। ব্যক্তিগত ২০ রানে ফেরেন তিনি। সেই সময় দলের রান ৪৮ রান।
শান্তর বিদায়ের পর আর কোনো বিপদ হতে দেননি অধিনায়ক তামিম ও তিনে নামা লিটন দাস। দুই জনের অবিচ্ছন্ন ৬০ রানের জুটিতে ম্যাচ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। দলের জয় নিশ্চিতের সাথে সাথে ক্যারিয়ারের ৫৩তম ওয়ানডে অর্ধশতকটাও তুলে নিয়েছেন তামিম ইকবাল।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর