০, ৭, ০ ,০ ৩০, ০, ১৪, ২১, ৮ ১৫, ৬*! কি ভাবছেন, কিসের সংখ্যা হতে পারে এগুলো! যাই ভাবেন এটা কিন্তু ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ইংলিশ ব্যাটারদের ব্যক্তিগত সংগ্রহ!
বল হাতে ইংলিশ ব্যাটারদের ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছেন ভারতীয় বোলাররা। নির্দিষ্ট করে বললে জসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ শামি। এই দুই ভারতীয় পেসারের তোপে কোনো ইংলিশ ব্যাটারই উইকেটে থিতু হতে পারেনি। ফলস্বরুপ মাত্র ১১০ রানেই অলআউট ইংল্যান্ড। ছয় উইকেটে নিয়েছেন বুমরাহ, তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া মোহাম্মদ শামির শিকার তিন উইকেট।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বল হাতে অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতে যেন উঠেপড়ে লেগেছিলেন বুমরাহ-শামীরা।
পুরো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জুড়ে নিষ্প্রভ ছিলেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়। ২০ ওভারের জায়গায় ৫০ ওভারের খেলায়ও হাসলো না তার ব্যাট। ইংলিশ ব্যাটারদের ড্রেসিংরুমে ফেরার মিছিলটা শুরু হয় তাকে দিয়েই।
টেস্ট ক্রিকেট ইংল্যান্ডের দেখানো পথেই এগোচ্ছে:বাউচার
ভারতীয় পেসার বুমরাহর ওভারে অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল টেনে এনে বোল্ড হন তিনি। দলীয় স্কোরবোর্ডে তখন ছয় রান থাকলেও তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল শূন্য।
টেস্টে দুরন্ত ফর্মে থাকা জো রুটে রঙিন পোশাকে ফিরেই ব্যর্থ! রয় আউট হওয়ার মাত্র এক বলের ব্যবধানে কোনো রান না করেই ম্যাচে বুমরাহর দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান তিনি।
ইংল্যান্ডের ইনিংসে এদিন যেন শুধুই শূন্যতা। আউট হওয়া দশ ব্যাটারের চারজনই আউট হয়েছে শূন্য রানে। রুট ফেরার পরের ওভারে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে স্টোকসকে ঋষব পান্থের ক্যাচ বানিয়ে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ শামি। এরপর দলীয় ১৭ রানে জনি বেয়ারস্টো ব্যক্তিগত সাত রান করে ফিরে যান। দলীয় ২৬ রানে লিয়াম লিভিংস্টোনকেও শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন বুমরাহ।
২৬ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমতো ধুকছে ইংল্যান্ড। এরপর ২৭ রানের ছোট্ট একটা জুটি হয় মঈন আলী ও অধিনায়ক জস বাটলারের। দলীয় ৫৩ রানে মঈন ফিরে গেলে আবারে চাপে পড়ে ইংলিশরা।
অন্যপ্রান্তে ব্যাটারদের যাওয়া আসা লেগে থাকলেও রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করছিলেন বাটলার। কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি, শামির বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৩০ রানে ধরা পড়েন সুরিয়া কুমার যাদবের হাতে।
৯ রানের ব্যবধানে শামি ক্রেইগ এভারটনকেও ফিরিয়ে ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানের লজ্জ্বা চোখ রাঙাচ্ছিল ইংল্যান্ডকে। কেননা আগের সর্বনিম্ন রান ৮৬ পার হতে তখনো দুই উইকেট হাতে নিয়ে করতে হতো ১৯ রান! ভারতীয় বোলারদের তোপে সেটা অসম্ভবই মনে হচ্ছিল তখন!
তবে ইংলিশদের লজ্জ্বার হাত থেকে বাচান ডেবিড উইলি ও ব্রাইডন কার্স। দু’জনের ম্যাচের সর্বোচ্চ ৩৫ রানের জুটিতে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার হাত থেকে রক্ষা পায় ইংলিশরা, একই সাতেহ দলীয় রানও ১০০ পার হয়।
১০৩ রানে ব্রাইডন কার্সকে ফিরিয়ে ম্যাচে নিজের পঞ্চম উইকেট শিকার করেন বুমরহা। যেটা ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার দ্বিতীয় ‘ফাইভ উইকেট হল।’ সাত রানের ব্যবধানে ডেভিড উইলিকে ফিরিয়ে ইংলিশদের অলআউট করেন তিনি।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে ভারতের প্রয়োজন ১১১ রান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্যাটিংয়ে নামেনি ভারত।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি