২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ১৯৯২ সালের আদলে। অর্থাৎ এবার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী সব দলই খেলবে একে অপরের বিপক্ষে। ১০ দলের এ বিশ্বকাপে থাকছে না কোন গ্রুপ। ফলে প্রত্যেক দলকে খেলতে হবে অন্তত ৯টি করে ম্যাচ। লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে যায়গা করে নিতে হবে সেরা চারে।
নতুন এ ফরম্যাটে বিশ্বকাপের আসর প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ দলে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এবার দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবালের মুখেও শোনা গেল একই সুর। তার মতে, প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ লম্বা সময়ের এ বিশ্বকাপে নিজেদের সেরাটাই দিতে হবে। এমনকি বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ভালো করতে পারবে বলেও তার বিশ্বাস।
শনিবার মিরপুরে তামিম বলেন,‘বিশ্বকাপকে ঘিরে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। প্রতিটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে খেলা হবে। ফরম্যাট নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে রোমাঞ্চিত। এটা এমন ফরম্যাট, যদি কোনো দল শিরোপা জিততে চায় পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে সেই দলকে ভালো খেলতে হবে।’
সব দেশের মতো বাংলাদেশেরও সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বলে মনে করেন তামিম। বলেন, ‘প্রতিটি দলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। লম্বা সময় ধরে অনেক ম্যাচ জিততে হবে কোয়ালিফাই করতে। ফরম্যাটটা চ্যালেঞ্জিং হবে। আমি খেলতে উন্মুখ। গ্রুপ থাকলে বোঝা যায় কটা ম্যাচ আমাদের জিততে হবে কোয়ালিফাই করতে। গ্রুপে এক-দুইটা ম্যাচ জিতলে কোয়ালিফাই করা সম্ভব। কিন্তু এখানে হয়তো ৫-৬টা ম্যাচ জিততে হবে। এটা অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার।’
বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে লম্বা সময় ভালো খেলতে হবে। টুর্নামেন্টকে যদি আমরা স্মরণীয় করে রাখতে চাই তাহলে ভালো প্রস্তুতির বিকল্প নেই। বিশ্বকাপের এখনো এক বছর সময় আছে। এই সময়ে যে সিরিজগুলো আছে, আমরা যদি ভালো খেলি, সিরিজ যদি জিতি তবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাওয়া যাবে।’
বাংলাদেশ দলে বর্তমানে কোন হেড কোচ নেই। বিশ্বকাপের আগে কে হচ্ছে টাইগারদের মাস্টার। তামিম অবশ্য বিষয়টিকে দেখছেন ভিন্ন দৃষ্টিতে। বলেন, ‘আমার কাছে যেটা ভালো লাগছে, তারা (বিসিবি) তাড়াহুড়ো করছে না। চাইলে হুট করে একজন নিয়েও আসতে পারত। তাড়াহুড়ো না করে যাকেই নিয়ে আসুক সময় নিয়ে করছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। যথার্থ কোচকে খুঁজতে সময় নিচ্ছে, এটা ভালো দিক।’