দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ বল হাতে একই ধস নামিয়ে দিয়েছেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো শিকার করেছেন পাঁচ উইকেট। বল হাতে এমন পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরার পাশাপাশি প্রথম বারের মতো হয়েছে সিরিজ সেরা।
সফর যাওয়ার আগে তাসিকিন জানিয়ে গিয়েছিলেন, দলের জয়ের অবদান রাখতে চান। যেন একটি ম্যাচ হলেও জয়ের নায়ক হতে পারেন তিনি। সিরিজে সেটিই হলো, শেষ ম্যাচে বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৫৪ রানে আটকে রাখার পেছনে ৫ উইকেট নিয়ে মূল ভূমিকাটি পালন করেছেন তাসকিন।
সিরিজের শেষ ম্যাচ ছাড়াও বাকি দুই ম্যাচেও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম ম্যাচে ১০ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ছিলেন খরচের বোলার, ৪ ওভার বল করে কোন উইকেট না পাওয়া তাসকিন দিয়েছিলেন ৪১ রান। দ্বিতীয় ম্যাচের পর প্রথমবারের মতো আইপিএলে ডাক পেয়েও জাতীয় দলের খেলা ছেড়ে যাননি তিনি।
সিরিজ জয়ের পর তাসকিন বলেন, “আমি খুবই খুশি ও গর্বিত বোধ করছি। এই প্রথম প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ পুরষ্কার পেলাম। গত দেড়-দুই বছর ধরে পরিশ্রম করে যাচ্ছি, একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আসছি।”
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অভিষেক ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নিয়ে নিজেকে জানান দিয়েছিলেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের ৫ উইকেট নেওয়ার পরও ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচ ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় হারের লজ্জা পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এবার আর হারতে হয়নি। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশ সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়েছে।
তাসকিন বলেন, “আমি (দক্ষিণ আফ্রিকায়) অনেক উপভোগ করেছি, যখন থেকে এসেছি। বলের লেন্থ নিয়ে কাজ করছি, আমার বেসিক যেটা আছে। ফ্ল্যাট উইকেটে কীভাবে পাঁচ উইকেট পেতে হয়, তা আমাকে এখনও শিখতে হবে।”
আইপিএলে ডাক পেলেও না গিয়ে দলের জন্য নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলেছেন তাসকিন। টাইগার পেসার বলেন, “প্রতিটি ম্যাচেই অধিনায়ক সর্বদা আমাকে সমর্থন করেছেন। অধিনায়কের এমন সমর্থন আমাকে বলে গতি ও আক্রমণাত্মক হওয়া এবং উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে স্পষ্ট ভূমিকা রাখে।”
পেসার তাসকিনের পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতানোর বিষয়ে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছেন, “আমি একজন খুব গর্বিত মানুষ, বিশেষ করে একজন বাংলাদেশি ফাস্ট বোলার পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছে। প্লেয়ার অব দ্য সিরিজের পুরস্কার জিতেছি।”
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস